ডুমুরিয়ায় অবৈধভাবে সরকারি গাছ কর্তণের অভিযোগ

0
274

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার নতুনরাস্তা-কদমতলা সড়কের পাশে থাকা গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রির অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে কাঠ ব্যবসায়ী আলম ব্যাপারীর বিরুদ্ধেও। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত।

দেশে চলমান করোনায় যখন নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন, ঠিক তখনি আবার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে ল-ভ- গাছপালা ঘরবাড়ী। আর সেই গাছ কাটার জন্য তড়িঘড়ি করে ঝড়ের পরের দিন গাছ কেটে বিক্রির মহাউৎসবে মেতেছে কিছু গাছ খেকোরা। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নতুনরাস্তা- কদমতলা সড়কের পাশে সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী লাগানো গাছ দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করছেন সিও গাজী আব্দুর রহমান এবং ক্রয় করছেন গাছ ব্যাপারী আলম। টেন্ডার ছাড়াই অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার সকালে নতুনরাস্তা-কদমতলা সড়কের বেলতলা নামক স্থানে, শোভনা গাবতলার আলম নামের এক অসাধু ব্যবসায়ী গাছ কাটতে থাকলে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কাটা গাছ জব্দ করে।
জানা যায়, এর আগেও আলম (কাঠ ব্যাপারী) সিও গাজী আব্দুর রহমানের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১৫ থেকে ২০ টি গাছ গোপনে ক্রয় করে অবৈধভাবে কেটেছেন। এ ব্যাপারে আলম সত্যতা শিকার করেন। এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক খান নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, বিগত দিনের বিভিন্ন সময়ে তারা রাস্তার প্রায় ৪০-৫০ টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। আজও গাছ কাটছিলো আমি ও এলাকাবাসী আলম ব্যাপারীকে বাধা দিলে সে গাছ কাটা বন্ধ করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে রাস্তা দেখাশোনায় দায়িত্বরত সুপারভাইজার, উজ্জ্বল কুমার মন্ডল বলেন, ১৫-২০ টি গাছ বিভিন্ন সময়ে কেটে বিক্রি করা হয়েছে সিও গাজী আব্দুর রহমানের নির্দেশে এবং তিনি নিজেও উপস্থিত থেকে গাছ বিক্রির টাকা নিয়ে গেছেন।
সিও গাজী আব্দুর রহমান জানান, বিভিন্ন সময়ে ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছগুলো অপসারণ করা হয়ে থাকে ও কিছু গাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, গাছ কাটার অভিযোগ এসেছে, তবে গাছ কাটা ও বিক্রির ব্যাপারে আমি অবগত নই এবং কাউকে গাছ কেটে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি।