ডুমুরিয়ার গৃহবধূ রিয়ার হত্যা না অত্মহত্যা : অভিযোগের তীর শ্বশুরবাড়ি

0
390

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউনিয়নে ঐশি আক্তার রিয়া (২১) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রিয়ার শ্বশুরবাড়ির স্বজনেরা এই মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলে দাবি করলেও নিহতের পিতৃপক্ষের স্বজনেরা বলছেন, তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগের তির শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।

নিহত গৃহবধূর চাচা মোঃ আলমগীর বলেন “৩ রা সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় অফিসে অবস্থানকালে ফোনকলের মাধ্যমে জানতে পারি রিয়া গলায় ফাস দিয়েছে। ক্লিনিকে ফোন করে জানতে পারি রিয়া বেঁচে নাই, অথচ পরে জানতে পারি লাশ ক্লিনিকে নিয়ে আবার বাড়ী ফেরত এনে নাটক সাজায় তার শ্বশুরবাড়ির স্বজনেরা। পরবর্তীতে রঘুনাথপুর পুলিশ ক্যাম্পে গেলে তারা পরামর্শ দেন থানায় যেতে। থানায় গিয়ে দেখি, আমাদের পৌছানোর পূর্বেই নিহতের শ্বশুরবাড়ির ব্যাক্তিকয়েক সেখানে পৌছে লাশ ময়নাতদন্তের আবেদনসহ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে”।

তিনি আরো জানান ” নিহতের স্বামী মোঃ নাজমুল ফকির মালয়েশিয়ায় অবস্থান করায় তার বোনের ছেলে মোঃ জুয়েল নিহত রিয়ার দিকে প্রায়ই কুদৃষ্টিতে তাকাতো এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক বাবদ দাবি করত। এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করছেন তিনি।

নিহত রিয়া খাতুনের পিতৃপক্ষের স্বজনেরা বলছেন, বৈদ্যুতিক পাখায় ওড়না দ্বারা গলায় ফাঁস দিলে শরীরের বিভিন্ন আলামত পরিলক্ষিত হবে, যা তার শরীরে দৃশ্যমান হয়নি। তিনি আরো বলেন বৈদ্যুতিক পাখায় ওড়না বেঁধে কেউ আত্মহত্যা করলে সেখানে চিহ্ন বা আলামত পাওয়া যাবে। কিন্তু ঐ ফ্যানটিতে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি। তার এই হত্যার জন্য দায়ী করছেন নিহতের শ্বাশুড়ী জরিনা বেগম, ভাশুরের ছেলে বাবু ফকির, ননদের ছেলে জুয়েল, ননদ ও ননদের স্বামীকে। নিহতের চাচা জানান “৩ রা সেপ্টেম্বর থেকে গত ০৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এরা সকলেই নিখোঁজ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর তারা বাড়ি ফেরে। এমন কি নিহত রিয়া খাতুনের স্বামী সকলবিষয়ে জানা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগের চেষ্টা করেনি। প্রশাসন ও চিকিৎসকে মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে ময়না তদন্ত রির্পোটি তাদের পক্ষে দেওয়া হয়। ঐশি আক্তার রিয়ার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য এখনো উম্মেচন করা হয়নি বলে দাবী করছেন স্বজনেরা।

মৃত দেহের ময়নাতদন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে চিকিৎসক কর্তৃক সম্পন্ন হবার পর এ বিভাগের চিকিৎসক ওহিদ মাহমুদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ” ঐশি আক্তার রিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার শরীরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। এটি একটি আত্মহত্যা।