টুঙ্গিপাড়ায় মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বীকার একই পরিবারের দুই ব্যাক্তি

0
459

টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ গোপালঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় লেবুতলা গ্রামের বেলায়েত শেখের দুই ছেলে আলম শেখ (৪৫) এবং লিখন শেখ (৩৮) পুলিশের ভয়ে বিগত দুই মাস পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানা গেছে।
হয়রানির স্বীকার লিখন শেখ বলেন, পুলিশের ভয়ে আমরা দুই ভাই বাড়িতে আসতে পারিনা । আমাদের নামে দ্বায়েরকৃত মিথ্যা অপহরন মামলায় পুলিশের দ্বারা হয়রানি হতে হচ্ছে। আমি বিগত দুই মাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে এসেছি। যখন সিঙ্গাপুর ছিলাম তখন শুনতে পারি আমার চাচাতো ভাই ফয়সাল নিখোঁজ হয়েছে। এরপর বাংলাদেশে এসে জানতে পারি আমার চাচাতো বোন লুৎফুন্নেছা ওই মামলায় আমাদের দুই ভাইকে আসামি করেছে।
মামলায় নিখোজের বোন লুৎফুন্নেছা উল্লেখ করেন, আমার চাচাতো ভাই আলম ও লিখন লোকজন দিয়ে আমার ভাইকে অপহরন করেছে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার দিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন দাবি করেছিলেন এবং যদি ওই টাকা না দেই তাহলে আমার ভাইকে মেরে ফেলবে বলে জানায়। মুঠোফোনে আমার চাচাতো ভাই আলম ওই মুক্তিপণ দাবি করেন।
এরপর নিখোঁজের ২ মাস পর যশোরের অভয়নগর থেকে ফাহিম ফয়সাল কে উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার (১৮ জুলাই) রাতে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি জাহাজে কর্মরত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে।
এব্যাপারে নিখোজ ফাহিম ফয়সালের কাছে সেখানে কেন গিয়েছিলেন জানতে চাইলে সে বলে, সেখানে আমি আমার ইচ্ছায় গিয়েছিলাম এবং আমি সেখানে কাজ করতাম, যেদিন পুলিশ আমাকে আটক করে তখন আমি কাজ করছিলাম তারপর পুলিশ আমাকে কিছু না বলে ধরে নিয়ে আসে। এছাড়া অন্য কোন কথা বলতে সে রাজি হয়নি ।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, গত ১২ মে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাশঁবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হন ফাহিম ফয়সাল। এরপর সে আর বাড়ি ফিরে না আসলে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়।
এ ঘটনায় নিখোঁজের বোন বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ ২ মাস পর গত ১৮ জুলাই রাতে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকার একটি জাহাজ থেকে ফাহিম ফয়সালকে আটক করে আনা হয়েছে । এই ২ মাস ধরে সে পাবনা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বাগেরহাট ও যশোরে অবস্থান করে। এছাড়া সে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর রাগ করে নিজ থেকে আত্মগোপনে যায় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে এবং পরের দিন তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে নিখোজের বোনের দ্বায়েরকৃত মিথ্য মামলায় হয়রানির স্বীকার একই পরিবারের দুই ভাই এই মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে চায়।