টুঙ্গিপাড়ায় প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে মেম্বারের

0
210

টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রথম বউয়ের অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ডুমুরিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনায়েত শেখ’র (৪৫) বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, গত সোমবার দ্বিতীয় বউ রানী আক্তার (৩২) কে পাকুরতিয়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন এনায়েত শেখ। এমন খবর শুনে বুধবার দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে প্রথম বউ পারভিন সুমি (৩৫) তার স্বামীর বাড়িতে আসলে দ্বিতীয় বউকে নিয়ে এনায়েতের সাথে তার ঝগড়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ৩ জনই আহত হয়। এলাকাবাসী বাঁশবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে এএসআই রাসেদুল ইসলাম সহ দুই পুলিশ সদস্য এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে জানা যায় এনায়েত শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী রানী গর্ভবতী ছিলেন। মারামারির সময় তার রক্তক্ষরণ হয়। তখন তাকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রানী বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রথম বউ পারভীন সুমি স্বামী এনায়েত শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আমার অনুমতি না নিয়ে তিনি গোপনে বিয়ে করে খুলনায় দীর্ঘদিন যাবত সংসার করছে। এই ঘটনা জানার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন কিনা জানতে চাইলে আমাকে বলেন তিনি কোন বিয়ে করেননি। এরপর আমি রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে গেলে আমাকে না ফিরিয়ে এনায়েত শেখ দ্বিতীয় স্ত্রীকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য এনায়েত শেখ তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ও রানী আক্তার নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে গত অক্টোবর মাসের ২ তারিখ বিয়ে করি। তিনি তার প্রথম স্ত্রী পারভীন সুমির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, জাহাজের ব্যবসা থাকায় আমায় বাইরে থাকতে হয়। তাই এই সুযোগে সুমি অন্য পুরুষের সাথে মেলামেশা করে। এটা জানার পর আমি আর তাকে আনতে যাইনি। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে আসার পর বুধবার দুপুরে সুমি ও তার ভাইরা মিলে আমাকে ও রানী’কে মারধর করে এবং ঘর থেকে চেক বই, সোনাদানা, টাকা পয়সা সব লুটপাট করে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি এএফএম নাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয় পক্ষের কেউ কোন অভিযোগ দ্বায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।