টাইফুন হাগিবিসের তা-বে জাপানে বহু মৃত্যু

0
360

খুলনাটাইমস বিদেশ : কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী টাইফুন হাগিবিসে জাপানের আটটি অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব অঞ্চলের অন্তত ৩৭ জন নিহত ও ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে জাপানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকের বরাতে অন্তত ৩১ জন নিহত, ১৫ জন নিখোঁজ ও ১৮৬ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দেশটির মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোর অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে বলে জানিয়েছে এনএইচকে। এক লাখ ১০ হাজারেরও বেশি লোক উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে। তারা কোমর সমান পানি ও কাঁদার মধ্যে নেমে নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। গত শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় হাগিবিস জাপানের প্রধান দ্বীপ হনশুর পূর্ব উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে আসে, এরপর দেশটির মধ্য ও পূর্বাঞ্চলজুড়ে তা-ব চালানোর পর সোমবার দুর্বল হয়ে স্থল থেকে ফের সাগরে ফিরে গেছে, কিন্তু পেছনে ধ্বংসের একটি ধারা রেখে গেছে। বন্যা ও ভূমিধসে যারা আটকা পড়েছেন তাদের উদ্ধারে হাজার হাজার পুলিশ কর্মকর্তা, দমকল কর্মী, কোস্টগার্ড ও সামরিক বাহিনীর সদস্য কাজ করে চলছেন। মধ্যাঞ্চলীয় নাগানোতে ট্রেনের একটি ডিপো ডুবে গেছে। এতে ১০টি দ্রুতগতির (বুলেট) ট্রেন ডুবে গেছে। প্রত্যেকটি ট্রেনের মূল্য তিন কোটি ডলার বলে বিবিসি জানিয়েছে। বন্যার কারণে যেসব বাড়ি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং যারা নিখোঁজ রয়েছেন, উদ্ধার অভিযানে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। গতকাল সোমবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৯২ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল। পানি সরবরাহে বিঘেœর কারণে এক লাখ ২০ হাজার বাড়ির বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন। হাগিবিস সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে তা-ব চালানোর সময় ৭০ লাখেরও বেশি লোককে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু মাত্র ৫০ হাজার লোক জরুরি কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাকোনে শহরে ৪৮ ঘণ্টায় তিন ফুটের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা জাপানের নতুন রেকর্ড। নাগানোর চিকুমা নদীর পানি উপচে আবাসিক এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। গত মাসে ফাসাই নামের আরেকটি টাইফুনের তা-বে জাপানে ৩০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলোর পুনর্নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই আরেকটি টাইফুনের কবলে পড়ল দেশটি।