জোড়াগেট মহাজের কলোনীর পুকুর ভরাটের চেষ্টা : স্থানীয়দের ক্ষোভ

0
358

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জলাধার ভরাট না করা সংক্রান্ত পরিবেশ আইন লঙঘণ করে জনসাধারণের ব্যবহৃত নগরীর জোড়াগেট সংলগ্ন মহাজের কলোনীর পুকুর ভরাটের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ৮০টি পরিবার দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত তাদের পানির উৎস্য নিয়ে সংশয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, জনসাধারণের বসবাস সংলগ্ন উন্মুক্ত স্থানে বছরের পর বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে সার রাখায় সেখানকার পরিবেশও দুষণ হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রতিকার দাবিতে এসব পরিবারের সদস্যরা কেসিসি মেয়র, জেলা প্রশাসক ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে গণস্বাক্ষরিত আবেদন দাখিল করেছেন। অবিলম্বে এ কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ কর্মসুচী ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, পুকুরটি ভরাট করা হলে গোছল ও কাপড় ধোয়াসহ তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পানির উৎস্য ধংস হবে। এছাড়া পরিবেশ আইন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জলাধার-পুকুর ভরাটে সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
অপরদিকে, জনসাধারণের বসবাস সংলগ্ন উন্মুক্ত স্থানে বছরের পর বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে হাজার হাজার টন ইউরিয়া সার রাখায় সেখানকার পরিবেশও দুষণ হচ্ছে। সার ধোয়া পানিতে পুকুরের মাছ ও জলজপ্রাণি, হাঁস-মুরগি, গবাদি পশু এবং গাছপালা মারা যাচ্ছে। এছাড়া বয়োবৃদ্ধ এবং নারী ও শিশুরা নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
অভিযোগকারীদের পক্ষে শেখ আবুল কালাম, শেখ আইনুল হক, সেখ গোলাম মোস্তফা, শেখ বাহাদুর ও ফাতেমা বেগমসহ অনেকেই বলেন, পুকুরটি ভরাট করা হলে স্থানীয় জনগণের উন্মুক্ত পানির উৎস্য ধংস হবে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা না হলে তারা বিক্ষোভ কর্মসুচী ঘোষণা করবেন। এছাড়া পরিবেশ দুষণকারী সারও উন্মুক্ত স্থান থেকে সরানোর দাবি জানান তারা।