জাতিসংঘের বিবৃতি আলোচনায় বিরূপ প্রভাব পড়বে: মিয়ানমার

0
591

 

খুলনা টাইমস ডেস্ক :
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে দেশটি।

স্থানীয় সময় বুধবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দ্বিপক্ষীয় চেষ্টাতেই কেবলমাত্র এই সমস্যার সমাধান আসতে পারে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

কয়েকটি চেকপোস্টে হামলার জের ধরে গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের নামে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে এসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এতে চরম মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাদের এমন নির্যাতনকে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে চিহ্নিত করে এর সমালোচনা করে আসছে জাতিসংঘ। তাই জাতিসংঘসহ দায়িত্বশীল বিভিন্ন মহল রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারকে তাগিদ দিয়ে আসছে। তবে রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমিতে নেওয়ার বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ এখনো নেয়নি মিয়ানমার।

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনার পর সর্বসম্মতভাবে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়, যেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এবং রাজ্যটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতির জবাবে বুধবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর সু চির দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ যে সংকট পার করছে, তা কেবল দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মধ্য দিয়ে নিরসন করা সম্ভব। তাই নিরাপত্তা পরিষদের ওই প্রেসিডেন্সিয়াল স্টেটমেন্ট বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চলমান আলোচনার জন্য ‘মারাত্মক ক্ষতিকর’হতে পারে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে মিয়ানমার সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ১৬ থেকে ১৭ নভেম্বর তাঁর মিয়ানমার থাকার কথা রয়েছে।