জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, মুহূর্তেই ডুবে গেল পার্লামেন্টে

0
293

খুলনাটাইমস বিদেশ : ইতালির ভেনিসের স্থানীয় প্রতিনিধি পার্লামেন্টে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের কিছুক্ষণ পরই সেখানে পানি ঢুকে পড়ে। মঙ্গলবার ভেনিসের গ্র্যান্ড ক্যানালে এই ঘটনা ঘটে যা বিগত ৫০ বছরে প্রথম।সাগরের পানির ওপর গড়ে ওঠা পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান শহর ভেনিস। ভাসমান এ শহরটি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসে। ফলে ইতালি সরকারের অন্যতম আরেকটি আয়ের উৎস ভেনিস। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা কম হওয়ায় সামান্য জোয়ারেই ডুবে যায় ভেনিসের নিচু অঞ্চলগুলো। প্রতিবছর অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারিতে এ জোয়ারের পানি আসে। ভেনেতো রিজিওনাল কাউন্সিল নামে ওই স্থানীয় পার্লামেন্টে রাত ১০ টা থেকে পানি ঢোকা শুরু হয়। সেখানে ২০২০ সালের বাজেট নিয়ে কথা হচ্ছিলো। ডেমোক্রেটিক পার্টি কাউন্সিলর অ্যান্দ্রে জানোনি তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আমাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের দুই মিনিটের মধ্যে সেখানে পানি ঢুকে যায়।’ ফেসবুকে সেখানকার একটি ছবিও দেন পরিবেশ কমিটির এই উপপ্রধান। স্থানীয় পরিষদের মুখপাত্র অ্যালেসেন্দ্রো অভিযাচও পার্লামেন্টে পানি ঢুকে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। প্রত্যাখ্যান হওয়া প্রস্তাবের মধ্যে ছিলো তহবিল সংগ্রহ, ডিজেলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব কোনও জ¦ালানি ব্যবহার, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, দূষণকারী স্টোভ ব্যবহার বন্ধ করা। কিন্তু বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিয়ে কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি বলে ভেনেতোর স্থানীয় প্রেসিডেন্টকে দোষারোপ করেন জানোনি। তবে পরিষদের প্রেসিডেন্ট রবার্টো কিয়ামবেতি জানোনির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের বাজেটে বিগত তিন বছরে বায়ু দূষণ মোকাবিলায় ৯৬৫ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করা হয়েছে। এ বছর মারাত্মক বন্যার কবলে পড়েছে শহরটি। বন্যার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন শহরটির মেয়র লুইগি ব্রুগনারো। তিনি বলেন, এই সপ্তাহে পানির উচ্চতা গত ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। বন্যায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি স্থায়ী চিহ্ন রেখে যাবে। বন্যা মোকাবিলায় সব ধরণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি এলাকা থেকে বন্যার পানি সরাতে বুধবার পাম্প বসানো হয়েছে। বন্যার কারণে শহর ছেড়ে যাওয়া পর্যটকদের আবারও ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।