চালের গুণগত মান সতেজ রাখতে খুলনার ১০ গুদামে মনিটরিং

0
339

নিজস্ব প্রতিবেদক
বোরো মৌসুমে অধিকাংশ উপজেলায় কেনা চালের মান গুণগত ছিল না। অনেক ক্ষেত্রে ভিজা চালও সংগ্রহ হয়েছে। ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি হওয়ার পর মজুদকৃত সরকারি গুদামের চালের প্রতি আগ্রহ কম। জেলার দুটি কেন্দ্রিয় খাদ্য গুদাম ও ৮টি উপজেলা পর্যায়ের গুদামে মজুদকৃত চালের গণগত মান বজায় রাখতে প্রতিদিন মনিটরিং করতে হচ্ছে। জেলার গুদামগুলোতে মজুদকৃত চালের পরিমান ৬৭ হাজার ৭০৩ মেট্রিকটন।
মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত বোরো সংগ্রহ মৌসুমে জেলায় ৬৭ হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হয়। মুজদকৃত চালের মধ্যে খুলনা কেন্দ্রিয় খাদ্যগুদামে ২১ হাজার ৫৭৪ মেট্রিকটন এবং মহেশ্বরপাশা কেন্দ্রিয় খাদ্য গুদামে ৪০ হাজার ৩৯২ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে। বাকি চাল ৮টি উপজেলা পর্যায়ের গুদামে। এছাড়া গুদামগুলোতে ১ হাজার ৪শ’ মেট্রিকটন আমন চাল মজুদ রয়েছে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ১০ টাকা কেজির জন্য জেলায় ৫ হাজার মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়। জেলখানা, আনসার, পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড, বিজিবি, নেভি ও সেনাবাহিনীর জন্য মাসে সাড়ে ৮শ’ মেট্রিকটন চালের প্রয়োজন হয়। ফলে সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহের ক্ষেত্রে আপাতত কোন খাত নেই। মজুদকৃত চালের গুনগত মান বজায় রাখতে প্রতিদিন গুদাএমর মেঝে পরিস্কার, জানালা দরজা খোলা, এগ্রিফস ট্যাবলেট ও প্রিমিফস মিথাইল স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অপর একটি সূত্র জানান, শুণ্য শুল্কে আমদানী করার পর ব্যবসায়ীদের গুদামে চাল মজুদ রয়েছে। এ চাল নিয়ে আমদানীকাররা বিপাকে রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা ও দিনাজপুরের উৎপাদিত চালের স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বেশী থাকায় আমদানীকৃত চালের প্রতি ক্রেতার আগ্রহ কম। বেসরকারি পর্যায়ে আমদানীকারকদের গুদামে পর্যাপ্ত চাল মজুদ রয়েছে। ফলে চালের মুল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ তানভীর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, চাল ও গমের ঘাটতি হবে না। তবে চালের গুণগত মান বজায় রাখতে নিয়মিত কেমিক্যাল ব্যবহারসহ মনিটরিং করা হচ্ছে। ৬৭ হাজার চাল বিতরণে বেশ সময় লাগবে। তার দেওয়া তথ্যমতে, চালের মূল্য তুলনামূলকভাবে কম। জেলায় প্রতি কেজি মোটা চাল খুচরা বাজারে ২৬-২৭, মাঝারি ৩৭-৩৮ টাকা, চিকন চাল ৪৪-৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরকার গত মে জুন মাসে চাল আমদানীতে ২৮ শতাংশ শুল্ক পুনর্বহাল করে। তার আগে সৃষ্ট খাদ্য ঘাটতি নিরসনের জন্য চাল আমদানীতে শুল্ক তুলে দেয়। এসময়ে যশোর নওয়াপাড়া ও খুলনার আমদানিকারকরা প্রচুর পরিমানে চাল আমদানি করে। প্রতিকেজি চালের আমদানী মূল্য দাঁড়ায় ৩৮ টাকা। লোকসান দিয়েও আমদানীকারকরা চাল বাজারে ছাড়ছে। চালের বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে।