গ্রেফতার শিঞ্জনের রিমাণ্ড শুনানী রবিবার, ধর্ষিতার পাশে মানবাধিকারকর্মীরা

0
522

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক সহপাঠী শিঞ্জন রায়ের (২৫) রিমাণ্ড শুনানী আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শিঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) তৌহিদুর রহমান জানান, ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন বাড়িতেই রয়েছেন। মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। রবিবার মহানগর হাকিমের আদালতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ধর্ষক শিঞ্জন রায়ের বাবা খুলনার আয়কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়। তাদের হয়েই কিছু লোক ছাত্রীর বাবা ও পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে নানা প্রলোভন দেখাচ্ছে। এছাড়া অনেকে হুমকির সুরেও কথা বলছেন।
এদিকে ধর্ষিতা ছাত্রীর পরিবারকে আইনী সহায়তা প্রদানের জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা জেলা শাখা। গতকাল শনিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পরিদর্শন করেন সংস্থার প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এড. মোমিনুল ইসলাম, ঢাকা থেকে আগত সুপ্রিম কোটের আইনজীবী ফাতেমা বেগম, মানবাধিকারকর্মী ইসরাত আরা হিরা, সাজেদা বেগম ও রেজাইল ইসলাম।
উল্লেখ্য, ওই ছাত্রী ও শিঞ্জন রায় নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। এক বছর আগে শিঞ্জন রায়ের সাথে তার প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ওই ছাত্রীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করে। বর্তমানে ওই ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্বা। পরবর্তীতে বুধবার অন্য মেয়ের সঙ্গে শিঞ্জনের বিয়ে হওয়ার খবর পায় ওই ছাত্রী। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর মুজগুন্নী আবাসিক এলাকার ১৬ নম্বর রোডে গিয়ে শিঞ্জন রায়ের দেখা পান তিনি। এসময় বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে সেখান থেকে তাকে জোর করে ইজিবাইকে তুলে দিতে যায় শিঞ্জন। তখনই এটি স্থানীয়দের নজরে আসে। এরপর এ বিষয়ে পুলিশের কাছে খবর গেলে দু’জনকেই সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে শিঞ্জন রায়কে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন।