গ্রামীণফোনের মুনাফা কমেছে

0
438

খুলনাটাইমস অর্থনীতি: চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ শতাংশের বেশি কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে সোমবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের এপ্রিল-জুন সময়ে দেশের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৭ পয়সা।
আগের বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা। সে হিসেবে আগের বছরের তুলনায় ইপিএস কমেছে ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ।
তবে হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোনের ইপিএস বেড়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ১০ পয়সা।
প্রথম ছয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আয়কর খাতে ব্যয় বাড়ায় চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের নিট মুনাফা কমেছে।
চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে কোম্পানিটির করপূর্ববর্তী মুনাফা ছিল একহাজার ৬৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল একহাজার ৩৩৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে গতবারের তুলনায় আয়কর বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৩০৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
এ তিন মাসে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ৯৫৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল একহাজার ৩৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
তবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানির রাজস্ব আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৭ হাজার ৯০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কোম্পানিটির গ্রাহকসংখ্যাও ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ৭ কোটি ৫৩ লাখে উন্নীত হয়েছে। ছয় মাসে ১৩ লাখ নতুন গ্রাহক যোগ হয়েছে।
এসময়ে গ্রামীণফোন ১৬ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক পাওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে মোট গ্রাহক সংখ্যার ৫২ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ছয় মাসে গ্রামীণফোন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), কর, শুল্ক, ফি, ফোরজি লাইসেন্স এবং স্পেকট্রাম অ্যাসাইনমেন্ট বাবদ ৪০৯০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা মোট রাজস্বের ৫৮ শতাংশ।
চলতি হিসাব বছরে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য পরিশোধিত মুলধনের ৯০ শতাংশ অন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) গ্রামীণফোন বিনিয়োগ করেছে ৩৮০ কোটি টাকা, যা একহাজার ৫৬০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন এবং নেটওয়ার্কের আধুনিকায়নে ব্যয় হয়েছে। গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৭৬টি।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলিকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবসায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তারা ফোরজি নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ ও আধুনিকায়নে জোর দিয়েছেন। নতুন সম্পূরক শুল্ক আরোপ হওয়ায় গ্রাহকসেবা পুর্নবিন্যাস করা হয়েছে।
এক নজরে গ্রামীণফোনের ছয় মাস
* মোট রাজস্ব ৭০৯০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬% বেশি
* মোট গ্রাহক ৭ কোটি ৫৩ লাখ, মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩ কোটি ৯৭ লাখ
* প্রথম ছয় মাসে নেটওয়ার্ক স¤প্রসারণ ও আধুনিকায়নে বিনিয়োগ ৭৯০ কোটি টাকা
* কর বাবদ সরকারী কোষাগারে জমা ৪ হাজার ৯০ কোটি টাকা, যা মোট রাজস্বের ৫৮%