নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক কেসিসি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আমি মেয়র প্রার্থী হতে অনাগ্রহী ছিলাম। সাংসদ মিজানুর রহমান মিজানের প্রস্তাবে ও চেম্বার সভাপতি কাজী আমিনুল হকের সমর্থনে নগর ও জেলা আওয়ামী লীগ সর্বসম্মতিক্রমে আমার নাম সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠায়। তবুও আমি ঢাকা যাইনি। জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেও চাননি সংসদ সদস্য’র পদ ছেড়ে মেয়র নির্বাচন করি। তবে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রস্তাবেই তিনি আমাকে প্রার্থী করেছেন।
তিনি বলেন, খুলনার প্রতি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। তিনি খুলনাকে তিলোত্তমা নগরী গড়তে চান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেই নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে কেসিসি নির্বাচনে বিজয়ী করতে হবে। ফলে এই নির্বাচনের প্রার্থী এখন আর আমি নই, বরং শেখ হাসিনা। তাই সবকিছু ছাঁপিয়ে, সমস্ত ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ২০০৮ সালের ন্যয় আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়বো। শেখ হাসিনাকে জয়ের মুকুট উপহার তুলে দেবোই -এটাই হোক আমাদের শপথ। রবিবার বিকেলে খুলনা মহানগর যুবলীগের সাথে আওয়ামী লীগ মনোনীত কেসিসি’র মেয়র প্রার্থীর সাথে মতবিনিময়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব বলেন তিনি।
নগর আ’লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম, সেদিন দলের ঐক্যবদ্ধতাই জয় টেনে এনেছে। সেদিন কোন নির্দেশনা ছাড়াই নেতাকর্মীরা যে যার অবস্থান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ফলে এক লক্ষ আটান্ন হাজার ভোটে জয় পেয়েছি। পরের ৫ বছর বঞ্চনার নগরীকে দৃশ্যমান উন্নয়নের ছোয়ায় পাল্টে যায়। মেয়র পদে বিদায়কালে কেসিসিতে রেখে যাওয়া ৭শ’ কোটি টাকা কোথায়?
এসময় তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে খালেক বলেন, প্রতি থানায় কমিটি হবে, ওয়ার্ডে কমিটি করা হবে। যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন একযোগে এই কমিটির মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী কাজ করবে। স্ব স্ব এলাকার নেতারা এই কমিটির মধ্যে থাকবেন। কমিটি পরিধি শতাধিকও হতে পারে। তবে যে বা যারা কেন্দ্র এজেন্ট হবেন কিংবা সেন্টার কমিটির দায়িত্বে নেবেন, কোনভাবেই তারা ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থান ত্যাগ করবে না। তবেই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই জয় ছিনিয়ে আনবো সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মহানগর যুবলীগের আহবায়ক এড. আনিসুর রহমান পপলু সভায় সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কামাল হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মনিরুজ্জামানের সাগরের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর যুবলীগ নেতা এসএম আকিল উদ্দিন, মুন্সী নাহিদুজ্জামান, শফিকুর রহমান পলাশ, শওকত হোসেন, সদর থানা যুবলীগের আহবায়ক এড. সাজ্জাদ আলী, সোনাডাঙ্গা থানা যুবলীগের আহবায়ক সালাম ঢালী, যুগ্ম আহবায়ক শেখ শহীদ আলী, খালিশপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলন, খানজাহান আলী থানা যুবলীগের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, মামুন কবির কচি, সেলিম চৌধুরী প্রমুখ।