খুলনা নগর ও জেলা আ’লীগের সম্মেলন সার্কিট হাউজ জুড়ে বিশাল প্যান্ডেল

0
660

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতিদিন গড়ে চল্লিশজন শ্রমিক দিন-রাত প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ করছে। কাজ শুরু হয়েছে ২৯ নভেম্বর থেকে। শেষ হবে ৯ ডিসেম্বর। ১০ ডিসেম্বর এখানে নগর ও জেলা আ’লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব। স্বাধীনতা উত্তরকালে বিশাল নির্মাণ করে সম্মেলন খুলনায় এই প্রথম। জামজমকপুর্ণ পরিবেশে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব।
সার্কিট হাউজের পুর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত ৪২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত ৩৪০ প্রস্ত নিয়ে প্যান্ডেল প্রস্তুতির কাজ চলছে। স্থানীয় নিউ নূর ডেকোরেটর প্যান্ডেল নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে। সার্কিট হাউজ ময়দানের পুর্বপাশে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্ত নিয়ে ডিজিটাল মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখানে দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দের বসার ব্যবস্থা করা হবে।
নিউ নূর ডেকোরেটরের মালিক মোঃ আকতার হোসেন জানান, প্যান্ডেল পরিধিতে দুই হাজার বড় সাইজে ও এক হাজার ছোট সাইজের বাঁশ স্থাপন করা হয়েছে। তার উপরে কাপড় দিয়ে নির্মিত হবে ছাউনি। ডেলিগেট ও কাউন্সিলরদের জন্যে ২৫ হাজার চেয়ার বসবে এখানে। ¯্রােতার সুবিধার্থে সার্কিট হাউস তার আশপাশের সড়কগুলোতে ১৩০ মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজার দরের সাথে সঙ্গতি রেখে একজন শ্রমিককে দিনরাতের জন্যে মজুরি দিতে হচ্ছে দুই হাজার টাকা। মঞ্চ ও প্যান্ডেল নির্মাণে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা তার খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া সম্মেলন শেষে প্যান্ডেলের আনুসাঙ্গিক সবকিছু গুটিয়ে নিতে তার সময় লাগবে তিন/চারদিন। নিরাপত্তার জন্যে ৩ ডিসেম্বর থেকে মঞ্চস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে- প্রত্যেক ওয়ার্ডে ১২জন কাউন্সিলর ও দুইশ’ ডেলিগেটকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ডেলিগেটের মধ্য থেকে ৫০জন মহিলা রাখার বাধ্যতামুলক। সম্মেলন সফল করতে বুধবার দলীয় কার্যালয়ে নগর আ’লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নগর সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় বর্ণাঢ্য দৃষ্টিদন্দন করার জন্যে গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুল নগরীতে প্রায় আড়াইশ’ তোরণ করা হয়েছে। তোরণে বঙ্গবন্ধু, আ’লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল ও কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেনের ছবি শোভা পাচ্ছে। নগর জুড়ে নগর ও জেলা আ’লীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের পোস্টার-প্যানা শোভা পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত্ব, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জেলা আ’লীগের সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশিদকে সভাপতি ও এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর নয় মাস পর গঠিত হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি। গত বছর ১৮ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজার ইন্তেকাল করেন। অপরদিকে, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর মহানগর আ’লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে তালুকদার আব্দুল খালেক সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এর প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।