খুলনা জেলা ও নগর আ’লীগ সম্মেলন ঘিরে একাধিক স্তরের নিরাপত্তা বলয়

0
648
????????????????????????????????????

মারুফ গাজী:
রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে জেলা ও নগর আ’লীগের সম্মেলন। জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এখন নেতাদের মাঝে চলছে টিকে থাকার নিরব লড়াই। তবে নেতৃত্ব নির্ধারণে দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তকেই সাদরে গ্রহণ করবে সর্বস্তর। দীর্ঘ পাঁচবছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ত্রি-বার্ষিক এ সম্মেলন। সম্মেলন আগামীকাল মঙ্গলবার খুলনা সার্কিট হাউস মাঠ উদ্বোধনের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুত। শুধু সম্মেলন স্থলেই ৩০ সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী বসার ব্যবস্থা রয়েছে। সবমিলিয়ে এদিন লক্ষাধীক মানুষের আগমনে মুখরিত হবে সার্কিট হাউস প্রাঙ্গন, এমনটাই দাবি দলীয় নেতাকর্মীদের। সম্মেলনে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কিত করছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেত ুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় জোরদার করা হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সম্মেলনে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে কেএমপি, র‌্যাবসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তার জন্য এক সপ্তাহ পূর্বে থেকেই সম্মেলন স্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সম্মেলনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বেশি জোরদার করা হবে বলা হয়েছে কেএমপির পক্ষ থেকে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাবও মাঠে থাকছেন।
সম্মেলনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দৈনিক খুলনাটাইমস’র এই প্রতিবেদককে র‌্যাব-৬ এর পরিচালক লে. কর্ণেল সৈয়দ মোহাম্মদ নুরুস সালেহীন ইউসুফ জানান, সম্মেলন উপলক্ষে সমস্ত এলাকা জুড়ে র‌্যাব এর কড়া নজরদারী থাকবে। এদিন আমাদের নিয়মিত টহলের অতিরিক্ত প্যাট্রোল নিয়োজিত হবে। একই সাথে সাদা পোষাকে আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা মোতায়েন থাকবে। আশাকরি সম্মেলন চলাকালে যেকোনো অনভিপ্রীতিকর পরিস্থিতি উদ্ভব হলে, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো।
কেএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু খুলনাটাইমসকে বলেন, সম্মেলনের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর অতিরিক্ত ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একাধিক কৌশলে বিস্তীর্ণ এলাকা নজরদারিতে আছে। এরমধ্যে শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করবে কেএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়া যেকোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে থাকছে মেটালিক ডিটেক্টর। সম্মেলনে ডিজিটাল নিরাপত্তা হিসেবে একাধিক স্থানে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার পাশাপাশি সাদা পোষাকে নিয়োজিত থাকবেন অজ¯্র নিরাপত্তাকর্মী। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সাইফুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে থেকেই নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীরা সর্বদা প্রস্তুত এমনটাই বলেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমাদের সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ-প্রশাসন বেশ তৎপর রয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠু ও শু শৃঙ্খলভাবেই সম্মেলনের ইতি ঘটবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ, প্রায় ৫ বছর পর মহানগর আওয়ামী লীগ এবং প্রায় ৪ বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। খুলনায় এবার প্রথম একসাথে হচ্ছে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। আগামী ১০ ডিসেম্ব, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন দলের প্রেসিডেয়াম সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্রাচার্য। প্রধান অতিথি থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। সন্মানিত অতিথি থাকছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকছেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ ও প্রধানমন্ত্রীর অথনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। প্রধান বক্তা থাকবেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিশেষ বক্তা থাকবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দলের নির্বাহী সদস্য মির্জা আযম এমপি, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, দলের শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়–য়া, নির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন ও এড. আমিরুল ইসলাম মিলন, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি। স্বাগত বক্তৃতা করবেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেসিসি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। পরিচালনায় থাকবেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী। বক্তৃতা করবেন পঞ্চানন বিশ্বাস এমপি, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি, মোঃ আব্দুস সালাম মুর্শেদী, আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা এমপি।