খুলনায় ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত; কন্ট্রোল রুম খুলেছে জেলা প্রশাসন

0
750

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার ৩২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ মুহূর্তে স্থানীয় উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং-প্রচারণা চলছে। একই সঙ্গে অন্যান্য সব ধরণের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী শনিবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। তাই ঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন।
তিনি জানান, খুলনার তিন উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণী’র সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে জেলার ৩২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় ১ হাজার ৯৫ জন ও দাকোপ উপজেলায় ১ হাজার ৩৬৫ জন স্বেচ্ছাসেবকসহ ২ হাজার ৪৬০জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি এবং নয়টি উপজেলায় নয়টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এর ফোন নম্বরসমূহ: খুলনা-০৪১২৮৩০০৫১; বটিয়াঘাটা-০৪০২২-৫৬০৪৯, ফুলতলা-০১৭১৬৭৭১২৮১, দাকোপ- ০৪০২৩-৫৬০৬২, ০১৯১৭১৭৩০৬৯, কয়রা- ০৪০২৬৫৬০৪৭, ০১৭০০৭১৭০০৮, ডুমুরিয়া- ০১৭৩০৯৯৬২৬৯, ০১৭১১৪৪৮৯৬১, ০৪০২৫৫৬১১, দিঘলিয়া-০৪১-৮৯০১৭৮, ০১৭১২২৫০৪৮৭, পাইকগাছা- ০৪০২৭৫৬০০১, রূপসা- ০১৭১৯৪৫৭৮০৫, ০১৭৪৭৬০৬০৬০ ও তেরখাদা- ০১৭৯৪৪৯২১৫৭, ০১৭১৭৯১৬৭৯৮।
স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি সামাল দিতে ১১৪টি মেডিকেল টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে খুলনা থেকে সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ।