খুলনায় রূপসা নদীর তীরে নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল ইকো পার্ক

0
1752

নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা মহানগরী থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে রূপসা নদীর তীরে ১২৯ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল ইকো পার্ক। সরকারি উদ্যোগে দক্ষিণাঞ্চলে এটাই সর্ববৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র। ইতিমধ্যে অবকাঠামোর ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানান, রূপসা নদীর তীরে বটিয়াঘাটা উপজেলার মাথাভাঙ্গা মৌজায় ২৯ দশমিক ৬০ একর এবং রূপসা উপজেলার জারুসা মৌজায় ১৩ দশমিক ৬৯ একর খাস জমিতে নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল ইকো পার্ক। জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জনস্বাস্থ্য অধিদফতর ও সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগ পার্কে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গত ৮ জানুয়ারি পার্কের মাস্টার প্লান, কর্ম পরিকল্পনা নকশা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হেলাল হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উল্লেখ করা হয়, পার্কে স্থাপণ কাজ শেষ হলে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপন, পশুপাখির অভয়ারণ্য সৃষ্টি, জলাধার সংরক্ষণ ও জনগণের বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। গেল মার্চ মাসে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উল্লেখ করেন, পার্কের মাটি ভরাটের ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নদীর তীরে বেড়িবাধ নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পার্কের ম্যানগ্রোভ কালচারাল সেন্টার স্থাপণে খুলনা জেলা প্রশাসকের অনুকূলে এক কোটি টাকা বারাদ্দ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য ট্যুরিজম বোর্ড ১৫ দফা শর্ত দিয়েছে। শর্তের অন্যতম বিষয় কোন আর্থিক অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে ট্যুরিজম বোর্ড দায়ী থাকবে না। কাজের মান নিশ্চিত করতে হবে, ব্যয়িত অর্থ অডিটযোগ্য।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্ত বিভাগের প্রফেসর ড. সিরাজুল করিম এ প্রতিবেদকে জানান, পার্ক নির্মাণের জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উন্নয়ন কাজের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। ২০২১ সালে নাগাদ এর এক অংশের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সুন্দরবন বিভাগের সূত্র জানান, এখানে কৃত্রিম বন সৃষ্টি করা হবে। বনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা শোভা পাবে।