নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস: আজ বুধবার (১১এপ্রিল) খুলনা মহানগরীর শিববাড়ী মোড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে সাধারন শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবোরধ করে আন্দোলন করেছে।এসময় খুলনা সাথে সারা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অাজ খুবিতে সব ধরনের পরিক্ষা, ভাইভা এবং ক্লাস বর্জন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে অান্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
অান্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবী, “খুবি শিক্ষার্থীদের পুলিশ কতৃক ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা প্রদান, কোটা সংস্কার করা, সারা বাংলাদেশে চলমান অান্দোলনরত শিক্ষর্থীদের উপর ছাত্রলীগ কতৃক হামলা, মতিয়া চৌধুরী অান্দোলনরত শিক্ষর্থীদের উদ্দেশ্যে সংসদে রাজাকার বলে গালি দেয়া, এবং অান্দোলনরত শিক্ষর্থী যারা অাটক অাছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি এবং যারা অাহত হয়েছে তাদের সু চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত অামরা অামাদের সব ধরনের ক্লাস পরিক্ষা বর্জনের ঘোষণা করলাম। যতদিন অামাদের দাবি না মানা হবে ততোদিন অামাদের এই যৌক্তিক অান্দোলন চালিয়ে যাবো।
এসময় তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় হতে গল্লামাড়ী মোড় হতে ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ী মোড় অবস্থান নেয়, এবং খুলনার সাথে সারা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।এবং দুপুর ১টার সময় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েটের) শিক্ষার্থীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে শান্তিপূর্ন আন্দোলনে যোগ দেয়।
এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. ফায়েক উজ্জামান। তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুটোফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার (১০এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঢাবিতে অান্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ সহ অারো ৪ দফা দাবিতে অান্দোলন করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল হলের এক শিক্ষার্থীকে কোটা সংস্কার অান্দোলনে যাওয়ার অভিযোগে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ঐ হলের ছাত্রলীগের সভাপতি ঈশা। তার বিচারের প্রতিবাদে অাবারো জেগে উঠেছে অান্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
