খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষে উদ্যোগ গ্রহন

0
631

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিভাগীয় শহর খুলনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ দাবি তোলা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের তুলে ধরা যুক্তিতে বলা হয়- উন্নত চিকিৎসার অভাবে রোগীরা ঢাকা ও দেশের বাইরে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার অভাবে মানুষ মৃত্যুবরণও করছে। এখানে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে চিকিৎসা বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহন ও গবেষণা করা সম্ভব হবে। কৃষি গবেষণা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে খুলনার দৌলতপুরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে।
গত মাসে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সংমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ বিষয়টি উপস্থাপন করেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উন্মুক্ত আলোচনায় খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যুক্তি দেখানো হয় খুলনা বিভাগীয় শহর ও তৃতীয় বৃহত্তম নগরী। উপকূলীয় জেলা হওয়ায় এখানের জনগনকে প্রতিনিয়তই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বসবাস করতে হয়। প্রতি বছরই এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জনগনের চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা পর্যাপ্ত নয়। উন্নত চিকিৎসার অভাবে রোগীদের ঢাকা এবং বিদেশে যেতে হয়। অসহায় দরিদ্র্য রোগী প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করে।
উন্নয়ন সংমন্বয় কমিটির আলোচনার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণের প্রস্তাবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবকে দাপ্তরিক পত্র দেবার সিদ্ধান্ত হয়। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সরকারি উদ্যোগের বিষয়টি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েলকে অবহিত করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান জানান, এ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন সাপেক্ষে জমি অধিগ্রহনসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ শুরু হবে।
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সম্পর্কে সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ মেহেদী নেওয়াজ। তিনি জানান, এর মধ্যদিয়ে বিএমএ, স্বাচিপ ও বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। চিকিৎসার মান অনেকগুনে বৃদ্ধি পাবে। বিভাগীয় শহরে গবেষনামুলক চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হবে। এসএম, এমফিল, এমবি প্রভৃতি কোর্স চালু হবে। এদতাঞ্চলে মেডিকেলে আধুনিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেনের অভিমত চিকিৎসা বিজ্ঞানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল পিছিয়ে আছে।
উল্লেখ্য, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ১৫০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এখানে বারো তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।