খুলনায় বই পড়ে পুরস্কার পেল ৩ হাজার ৭৭৬ জন শিক্ষার্থী

0
758

নিজস্ব প্রতিবেদক : পিটিআই প্রাঙ্গণ খুলনায় ৩ হাজার ৭৭৬ জন শিক্ষার্থীকে বই পড়ার জন্য পুরষ্কার দেয়া হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র পরিচালিত বইপড়া কার্যক্রমের আওতায় ২০১৮ শিক্ষাবর্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই পড়ার জন্য খুলনা মহানগরীর ৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় পুরষ্কার দেয় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
খুলনা মহানগরীর ৪২টি স্কুলের পুরস্কার বিজয়ী ৩৭৭৬ জন শিক্ষার্থীকে স্বাগত পুরস্কার, শুভেচ্ছা পুরস্কার, অভিনন্দন পুরস্কার ও সেরাপাঠক পুরস্কার এই চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে। প্রথম পর্বে ২১টি স্কুলের ১৯১১ জন শিক্ষার্থীকে ও দ্বিতীয় ২১টি স্কুলের ১৮৬৫ জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে । তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ১২০৮ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১৬১০ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৮৮৭ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৭১ জন। সেরাপাঠক পুরস্কার বিজয়ী ৭১ জনের মধ্যে লটারীর মাধ্যমে ৭জনকে প্রদান করা হয় ২০০০ টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি করে বিশেষ পুরস্কার। এছাড়াও লটারীর মাধ্যমে ৪ জন অভিভাবককে প্রদান করা হয় ২০০০ টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি করে বিশেষ পুরস্কার।
এই উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, বিশিষ্ট অভিনেতা আল মনসুর, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিয়াউর রহমান, খুলনা অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক শেখ হারুনর রশিদ, খুলনা জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোঃ রুহুল আমীন, পিটিআই খুলনা এর সুপার স্বপন কুমার বিশ্বাস, গ্রামীণফোনের খুলনা অঞ্চলের রিজিওনাল হেড মোঃ আহসান হাবিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের খুলনা মহানগরের সাবেক সংগঠক হুমায়ুন কবির ববি।
শুরুতে ফুলের মালা কেটে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করা হয়। অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্য পর্বে বিশিষ্ট লেখক ও অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ বলেন, বিশ্বব্যাপী বইপড়ার অভ্যাসকে সর্বোচ্চ সম্মানের সাথে মূল্যায়ন করা হয়। মহৎ এই অভ্যাস আমাদের মধ্যেও গড়ে তুলতে হবে। প্রতিভা বিকাশ, জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি, মানসিকতার ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে বইপড়ার বিকল্প নেই। সবকিছু উর্ধ্বে গিয়ে বইপড়ার এত সুন্দর কর্মসূচি অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
বিশিষ্ট অভিনেতা আল মনসুর উৎসবে আগত শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন জানিয়ে ছোটবেলার ও দেশ-বিদেশ গল্প বলে বইপড়ার গুরুত্ব ও অলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
গ্রামীণফোনের খুলনা অঞ্চলের রিজিওনাল হেড মোঃ আহসান হাবিব বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রমের সাথে গ্রামীণফোন যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। তিনি আরো বলেন বই হচ্ছে জ্ঞানগর্ভ। ভালো এবং বেশি বেশি বই পড়তে হবে আর সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে পারলে সফলতা নিশ্চিৎ। সে লক্ষ্যে সবার জন্যে চমৎকার সব বইয়ের একটি ই-লাইব্রেরি তৈরি করেছে গ্রামীণফোন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র যৌথ উদ্যোগে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে খুলনা মহানগরীর সাবেক সংগঠক হুমায়ুন কবির ববি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বই মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে সহায়তা করে। বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে জীবনে সার্বিক উন্নয়ন অনেকটাই সহজতর হয় সেজন্য তিনি বেশি বেশি বই পড়তে শিক্ষার্থীদের আহবান জানিয়ে উৎসব আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
মোমবাতি প্রজ্জলন ও আগুনের পরশ মণি ছোয়াও প্রাণে .. গানের সুরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শেষ হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।