খুলনায় নয় বছরের শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু, ধাপাচাপা দিচ্ছে পরিবার!

0
467

ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) প্রতিনিধিঃ নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন যোগিপোল ৭ নং ওয়ার্ডের মুফতি জব্বারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া ট্রাক ড্রাইভার হালিম হাওলাদারের মেয়ে কুয়েট উন্মেষ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাদিয়া আক্তার শিমুর(৯) রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে নির্যাতন করে হত্যা করার কথা বলা হলেও পরবর্তিতে অজ্ঞাত ফোনে সম্পন্ন ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাড়ীর মালিক এবং এলাকাবাসী তাদের দাবী পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (৩ অক্টোবর) নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে। ঘটনায় দৌলতপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

নিহত শিমুর মা জানান আমার জোর আপত্তি থাকা শর্তেও সোমবার রাতে তার ভাই মাহমুদের বন্ধু ট্রাক ড্রাইভার সাদ্দাম তার বাড়ীতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমার মেয়ে শিমুকে তার বাসা দৌলতপুর থানাধীন রেলিগেট সাহেবপাড়ায় নিয়ে যায়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে আমি মেয়েকে বাড়ী পাঠিয়ে দিতে বল্লে তারা কিছু একটা লুকিয়ে যায়। পরবর্তিতে দুপুর ১টায় আমার ভাই সাদ্দাম আমাকে ফোন করে মেয়ের মৃত্যুর খবর না দিয়ে আমাকে রেলিগেটে ডেকে নিয়ে যায়।
নিহতের মা যখন মেয়েকে নির্যাতন করে মৃত্যুর ঘটনা এভাবে বর্ননা দিচ্ছিলো ঠিক তখন নিহতের খালার মোবাইলে একটি ফোন আসলে তিনি ঘটনার বর্ণনা না দিয়ে বিষয়টি চেপে গিয়ে বলেন যা হারিয়ে গেছে গেছে তাকে তো ফিরে পাবো না। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ির আর কি দরকার।

বাড়ীর মালিক মুফতি আঃ জব্বার বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক তারা ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছে। তিনি জানান আমি অনেকের কাছে শুনেছি নিহতের গায়ের অনেক জায়গায় স্পট রয়েছে। তার মৃত্যুকে এক সময় পানিতে পড়ে এক সময় রোড এ্যাকসিডেন্ডে এবং এক সময় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে পরিবারের অনেকে জানিয়েছেন।
এলাকার নাজনীন এবং সুলতান নামের দুই ব্যাক্তি জানান, নিহতের গায়ে নখের দাগ এবং গলায় কালো দাগ সহ বিভিন্ন স্থানে দাগ রয়েছে যা দেখে বুঝা যায় তাকে নির্যতন করে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সকালে নিহতের লাশের ময়না তদন্ত শেষে জাব্দিপুর কেনদ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে তাকে গোয়ালখালি কবর স্থানে দাফন করা হয়।

এ ব্যাপারে সুরতহাল রির্পোট প্রস্তুতকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সাইফুলের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। দৌলতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ জানান মেয়েটি পানিতে ডুবে মারা গেছে। তবে ময়না তদন্ত রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবেনা। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। গতকাল ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবী ফুটফুটে মিষ্টি শিশু শিমুর লাশ তার বাড়ীতে নিয়্ েআসার পর তার শারিরিক অবস্থা যারা দেখেছে সকলে বলেছে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে এবং এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এলাকাবাসীর দাবী নিহতের সৎ মামা এবং তার বন্ধু সাদ্দামকে জিজ্ঞাসা করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তার এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উৎঘাট করে দোষিদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী জানান।