খুলনায় তিন সহোদরের ক্ষুদ্র উদ্যোগ, সহস্রাধিক পরিবার পেলো খাদ্যপণ্য

0
1523

কাকলি খানম:
শেখ মিরাজুল ইসলাম, শেখ জিয়াউর রহমান ও শেখ জিহাদ হোসেন। তিন সহোদর। খুলনা নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডস্থ শ্মশানঘাট এলাকায় ওদের বসবাস। শ্মশানঘাট পার হলেই ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া সীমানা শুরু। আছে ১৭নং ওয়ার্ডের একাংশও। উল্লেখিত এসব সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় হতদরিদ্র কেউ বাদ যায়নি এই সহোদরদের খাদ্য সহায়তা থেকে।
জানা গেছে, লকডাউনের সেই শুরু থেকে অদ্যবধি ৪ দফায় প্রায় সহস্রাধিক পরিবার সুফলভোগী হয়েছে, তাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসের ফলে। দলমত নির্বিশেষে ওই অঞ্চলে হতদরিদ্র ও কর্মহীনরা তাদের এই উদ্যোগের ফলে ঘরে চুলা জ্বালাতে সক্ষম হয়েছেন। বিতরণ করা খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে মোড়ক প্রতি ছিল ৪ কেজি চাল, ২ কেজি আলু ও আধা কেজি ডাল।
আরও জানা গেছে, তিন সহোদরের এই উদ্যোগে র্সাক্ষক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। এছাড়া নগর যুবলীগ সদস্য রোজী ইসলাম নদী ও সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক রুহুল ওতপ্রোতভাবে এই আয়োজনের সাথে জড়িত রয়েছেন। আর স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সার্বিক নির্দেশনায়ই সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
না বললেই নয় প্রতি রাতেই মানুষের দ্বারে দ্বারে এই সহায়তা পৌছে দেয়া হচ্ছে। এজন্য প্রথমে গোপনে খোঁজ নিচ্ছেন, তারপর খাদ্যপণ্য প্রদান করা হচ্ছে। এমনটাই জানালেই তিন সহোদরের একজন শেখ মিরাজুল ইসলাম। সে সাফ জানিয়েছেন, খাদ্যপণ্য বিতরণের কোন ছবি সংগ্রহ করা হয়নি। কারণ ব্যাক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন, খাদ্য সহায়তা গ্রহণকারীর ছবি ধারণ করা উচিত নয়। তবে এই খাদ্য সহায়তা বিতরণের চিত্র অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, শেখ মিরাজুল ইসলাম বর্তমান ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। সাবেক ১৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। ছাত্রজীবনে সরকারি আযম খান কমার্স কলেজে অধ্যয়নরত ছিলেন। তখন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। সেই থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। অবশ্য, তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দল থাকায় জেল-জুলুম, হামলা-মামলার শিকার হতে হয়েছে।