খুলনায় কাশ্মীর ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

0
677

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বলেছেন, ভারতবর্ষ যখন স্বাধীন হয় তখন বৃটিশ সরকার নিয়ম করে দিয়েছিল কাশ্মীর একটি স্বাতন্ত্র দেশ, এখানকার জনগণ সর্বদিক থেকে স্বাধীন। এমনকি এখানে কেউ জমিজমা ক্রয়, বহিরাগতরা নাগরিকত্বও নিতে পারবে না। কিন্তু মোদি সরকার ৩৭০ ধারা পরিবর্তন করে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। কিন্তু ভারতের সংবিধানের ২-এর ক-খ ধারায় উল্লেখ আছে, কোন দেশকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে নিতে হলে প্রেসিডেন্ট অর্ডিনেন্স জারি করবে, এবং কাশ্মীরের জনগণের মতামত নিবে। কিন্তু এখানে তা করা হয়নি। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, কাশ্মীর সঙ্কট শুধু কাশ্মীরেরই নয়, এ সঙ্কট বাংলাদেশেরও। এজন্য বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিবাদমুখর হতে হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানীরা যেভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, অনুরূপভাবে কাশ্মীরীদের অধিকারও মোদি সরকার কেড়ে নিয়েছে। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, স্কুল-কলেজ বন্ধ এমনকি ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে।

অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, আমরা ভারতবিরোধী নই, ভারতের নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের বিরোধী। মোদির এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতের সর্বস্তরের জনগণ এবং বুদ্ধিজীবীগণ প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, মোদির এই নীতি ভারতের গণতন্ত্রকে গলা কাটার শামিল এবং এতে করে ভারতই টুকরো টুকরো হবে। তিনি বলেন, মোদি মুসলমানদের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদের উপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। কাশ্মীর সাতচল্লিশের পর থেকে অগ্নিগর্ভ। বারবার রক্ত ঝরছে সাধারণ মানুষের। কাশ্মীরের আপামর জনতার মতামতকে উপেক্ষা করে ভারতের সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন সংকট সৃষ্টি করছে। এই সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৪ টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে এবং কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারতের বিজেপি সরকার কর্তৃক সংবিধান পরিবর্তন করে কাশ্মীরীদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে খুলনা নিউমার্কেট বায়তুন নুর কমপ্লেক্স চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খুলনা মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা মুজাফ্ফার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং নগর সেক্রেটারী শেখ মুহাঃ নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারী মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দলের নগর সহ সভাপতি শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, জেলা সহ-সভাপতি মাওঃ রেজাউল করিম, শেখ জামিল আহমদ, নগর জয়েন্ট সেক্রেটারী আলহাজ্ব মাওঃ দ্বীন ইসলাম, জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওঃ মজিবুর রহমান, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম সজীব মোল্লা, নগর সহ সাংগঠনিক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আসাদুল্লাহ হামিদি, সহ সাংগঠনিক মাওঃ আশরাফুল ইসলাম, নগর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম কাবির, সহ প্রচার আব্দুর রশীদ, জেলা প্রচার সম্পাদক মাওঃ হারুন অর রশিদ, সহ প্রচার সম্পাদক মোঃ ওলিয়ার রহমান, মোঃ শরিফুল ইসলাম, মাওঃ আব্দুস সত্তার, মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, আলহাজ্ব মোমিনুল ইসলাম, মোঃ হুমায়ন কবির, ক্বারী মোঃ বাবর আলী, মুফতী ইসহাক ফরীদি, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফয়সাল, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুস ছালাম, ডাঃ মাওঃ নাসির উদ্দিন, মাওঃ হাফিজুর রহমান, হাফেজ মোস্তাফিজুর রহমান, মুফতি বোরহান উদ্দিন, মাওঃ আবু সাঈদ, মোঃ ইব্রাহিম হাওলাদার, আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, জিএম নওশের আলী, আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, মাওঃ আবুল কালাম আজাদ, ডাঃ শহিদুল্লাহ, মোঃ জাহিদুৱ রহমান, মুফতি বেলাল হোসেন, আলহাজ মাওলানা ইমরান হুসাইন, মুফতী মাহবুবুর রহমান, মাওঃ সিরাজুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, এস এম আবুল কালাম আজাদ, গাজী মুরাদ হোসেন, মুফতী হেলাল উদ্দিন, যুব নেতা মুহাঃ ইসমাইল হোসেন, মাওঃ তাওহীদুল ইসলাম মামুন, মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, মোঃ হুমায়ুন কবীর, এইচ এম জুনায়েদ মাহমুদ, ছাত্র নেতা কেন্দ্রীয় মুহাঃ আমিরুল ইসলাম, মুহাঃ সাইফুল ইসলাম, এসকে নাজমুল হোসেন, মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, আব্দুস ছালাম জায়েফ, মুহাঃ নাজমুস সাকিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মাওঃ মুজাফ্ফার বলেন, কাশ্মীরের মুসলিম রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার, গৃহবন্দি, সৈন্য সমাবেশের মাধ্যমে কাশ্মীরে মারাত্মক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের মৌলিক অধিকার চরম হুমকির মুখে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশ্বনেতাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

পরে একটি বিশাল মিছিল শিববাড়ী, পাওয়ার হাউজ হাউস, ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস, থানার মোড়, হাদীস পার্ক হয়ে ফেরীঘাট মোড়ে এসে সমাপ্ত করা হয় এবং জুম্মা বাদ নগরীর মসজিদগুলোতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।