খুলনায় উৎসবের আমেজ, নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর আ’লীগ কার্যালয়

0
782

এম জে ফরাজী : একই দিনে একই সাথে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। প্রায় পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনকে ঘিরে একদিকে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেতৃত্বপ্রত্যাশীরা; অন্যদিকে নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে দলীয় কার্যালয়। খুলনার ইতিহাসে প্রথমবার এক সাথে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ায় ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। পুরো নগরীকে সাজানো হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে। সড়কে সড়কে বিশাল তোরণ, দলীয় সভানেত্রী-সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাদের প্যানা, ফেস্টুন, পোষ্টারে বেড়েছে আকর্ষণ।
সরেজমিনে দিয়ে দেখা গেছে, খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে চলছে মঞ্চ প্রস্তুতসহ অন্যান্য কাজ। সার্কিট হাউজের দক্ষিণ প্রান্তে নৌকার আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে সুবিশাল মঞ্চ। পুরো সার্কিট হাউজ ময়দান থাকবে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায়। সার্বক্ষণিক ওয়াচ টাওয়ার পর্যবেক্ষণ করবে সম্মেলনস্থলকে। মহানগর এবং জেলার ৩০ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শনিবার বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্যদের নিয়ে সম্মেলনস্থল পরিদর্শনে যান খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। এসময় তিনি পুরো মাঠ এবং মঞ্চ ঘুরে দেখেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তখন তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম একইসাথে ১০ ডিসেম্বর জেলা ও নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যার কারণে বাড়তি চাপ থাকবে। প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। আশাকরি সফলতার সাথেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।’
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, সদস্য সচিব শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আ’লীগ নেতা এমডিএ বাবুল রানা, মো. আশরাফুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা শেখ আবু হাসান, এ কে হিরু, এস এম নজরুল ইসলাম, এস এম জাহিদ হোসেন, মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশসহ মিডিয়া উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ, আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
দুপুর সাড়ে ১২টায় সম্মেলনস্থল পরিদর্শনে যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। এসময় তিনিও নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠ ও মঞ্চ ঘুরে দেখেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, সহ-সভাপতি এএফএম মাকসুদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, অসিত বরণ বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা শেখ মো. আবু হানিফ, আসাদুজ্জামান রিয়াজ প্রমুখ।
এর পরপরই বেলা পৌনে ১টায় সম্মেলনস্থল পরিদর্শনে আসেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ জালাল উদ্দিন রুবেল। তখন তারা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠের বিভিন্নকাজ পরিদর্শন করেন।
এদিকে দলের সম্মেলনকে ঘিরে নেনতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের সাথে নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে দলীয় কার্যালয়। দফায় দফায় মিটিং-সিটিংয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুকে কারা আসছেন নেতৃত্বে। নতুন নেতৃত্ব নাকি পুরাতনরাই আবারও হাল ধরছেন আওয়ামী লীগের, যা নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই নেতাকর্মীদের মধ্যে।