খুলনায় আ’লীগের সম্মেলন সফলে প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে, ত্যাগীদের মূল্যায়ন দাবি

0
656

এম জে ফরাজী : খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল মঙ্গলবার। সম্মেলন উপলক্ষে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে মঞ্চ তৈরিসহ প্যান্ডেল প্রস্তুতের কাজও শেষ পর্যায়ে। আজকের মধ্যেই নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চ দৃশ্যমান হবে। যার জন্য দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন ডেকোরেশনের কর্মীরা। আর সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে রবিবার খুলনার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মিছিল-সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, আগামীকাল মঙ্গলবার একই সাথে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি থাকবেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, স্বাগত বক্তব্য রাখবেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। এছাড়াও কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতারা এতে বক্তব্য রাখবেন।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ‘সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। সম্মেলন সফলের লক্ষ্যে বিভিন্ন উপ-কমিটি কাজ করছে। সম্মেলন স্থলে ৩০ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাউন্সিলর ও ডেলিগেট ছাড়াও অর্ধলাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেলা ১১টায় সম্মেলনের মূল পর্ব শুরু হলেও সকাল ৯টা থেকে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হবে। যেখানে স্থানীয় শিল্পীরা পারফর্ম করবেন। পরে অতিথিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন উদ্বোধন করা হবে।’
এবারের সম্মেলনে দুই ইউনিটের সভাপতি পদে প্রবীণদের আধিক্য থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য মাঠে নেমেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। সভাপতি পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য এখনো দলের ভাবনায় আছেন কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা। যারা দলের দুঃসময়ে রাজপথে থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘যারা দুর্দিনে রাজপথে থেকেছেন, নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখেন এমন নেতৃত্ব হোক আমরা আশাকরি। বির্তকিত কাউকে নেতৃত্বে আনা উচিত নয়। বাকিটা দলের নীতি-নির্ধারকদের সিদ্ধান্তের বিষয়।’
এদিকে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে গতকাল রবিবার দিনব্যাপী নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মিছিল করেছে নেতৃবৃন্দ। এছাড়া সম্মেলন উপলক্ষে বেশ কয়েকদিন ধরে যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট মিছিল-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। গত তিনদিন ধরে নগরীর অলি-গলিতে মাইকিং করা হয়েছে। প্যানা-পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে নগরীকে। আর নেতৃত্বপ্রত্যাশী এবং সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পদচারণায় দলীয় কার্যালয়ে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। সম্মেলনে বর্তমান সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। সম্মেলনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক ও ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদেকর মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন এ্যাড. সুজিত অধিকারী।