খুলনায় অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১০ জন গ্রেফতার

0
639
নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় রূপসার কুদির বটতলা মোড় সংলগ্ন এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
খুলনা জেলার পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছে। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তারই ধারাবহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করে। আটক ডাকাতদলের অন্য সদস্যদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ সকল ডাকাত সদস্যদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করলে আরো অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসবে, পাশপাশি এই চক্রটির মূল হোতাকে চিহিৃত করা যাবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ওসি ডিবি তোফায়েল আহমেদ’র নেতৃত্বে জেলা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক সেখ কনি মিয়া, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামান, এসআই মুক্ত রায় চৌধুরী বিশেষ অভিযান চালিয়ে খানজাহান আলী সেতু বাইপাস সড়কের গফ্ফার শেখ এর ঘেরের পাশ থেকে ভূঁয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃ জেলা ডাকাতদলের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করেন। এরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার তেয়শ্রী ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত আঃ আজিজ চৌধুরীর পুত্র মোঃ রাজ্জাক চৌধুরী (৩৩) ও মাসুম @ ফারুক চৌধুরী (৩৮), কিশোরগঞ্জ জেলার তারাইল থানার পুরুবা ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত আফতাব উদ্দিনের পুত্র আরিফুজ্জামান @ শরীফ (৩৮), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার রাজাপুর ইউনিয়নের আমজাদ গাজীর পুত্র রিপন গাজী (৩০),  একই জেলার দাকোপ থানার মধ্যপাড়া গুনড়ির বাসিন্দা মোক্তার আলীর পুত্র মোঃ আলমগীর হোসেন(৩২), ফরিদপুর জেলার রাজবাড়ী থানার আলাদীপুর ইউনিয়নের মৃত হয়রত মিয়ার পুত্র সাগর মিয়া (৪০), জামালপুর জেলার শরিষাবাড়ী থানার পিকনার বাসিন্দা আ: মান্নান মন্ডলের পুত্র মো: হিরো মিয়া (৩৫), মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার নলকুড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজেক মিয়ার পুত্র মোঃ সোহেল ওরফে রাহেজ ওরফে হারেজ, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার আটিয়াউলাইল গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোশারফ হোসেনের পুত্র মোঃ আনিসুর রহমান(২৫), এবং গাজীপুর জেলার জাজর থানার বাসিন্দা মৃত জবেদ আলীর পুত্র গফুর আলী (৩৮)।
অভিযানে একটি অত্যাধুনিক ৭.৬৫ পিস্তল, ৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৩টি অত্যাধুনিক পি-শাটারগান, ৭টি ডিবিরি কোটি, ৪টি পুলিশের ভূঁয়া আইডি, ৩টি পিস্তলের কভার, ৪টি টর্চ লাইট, ৪টি বাঁশি, ০১ জোড়া হ্যান্ড ক্যাপ, ২টি ডিবি পুলিশ লেখা লেমোনেটিং কার্ড এবং একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত দলের ৪/৫ জন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সদস্য তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতির প্রস্তুতি, পুলিশ/র‌্যাব পরিচয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, চুরি সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
ঘটনাস্থাল থেকে পালতক ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার সহ তাদের ব্যবহৃত মাইক্রো বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ সংক্রান্তে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নিঃ) মুক্ত রায় চৌধুরী পিপিএম বাদী হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনের দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন। যাহা রুপসা থানার মামলা নং-১৫, তারিখ ১৬/১১/১৮, ধারা-১৭০/১৭১/৩৯৯/৪০২/ পেনাল কোড এবং রুপসা থানার মামলা নং-১৬, তারিখ ১৬/১১/১৮ ধারা-১৮৭৮ সালের আর্মস এ্যাক্ট এর ১৯ এ/১৯(এফ)।