খুলনার চল্লিশ হাজার কৃষকের ক্ষতি পরিমাণ ৪৮ কোটি টাকা

0
409

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রান্তিক, বর্গা ও মহাজন চাষীদের বাড়ীতে তোড়জোড় চলছিল পাকা আমন ধান কাটার। অপেক্ষা ছিলো সোনালী ধান গোলায় তোলার। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে পানিতে শুয়ে পড়েছে গোছা গোছা ধানের শীর্ষ। টানা বৃষ্টি আর ঝড়েড়র বাতাসে পাকা ধান ক্ষেতে প্রকৃতি মই দিয়েছে। ২৫ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেতে পাওয়া যাবে চিটে আর কুটো। জেলায় এমন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৪০ হাজার। ক্ষতি হয়েছে ৪৮ কোটি টাকার কৃষি পণ্যের।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ৯ নভেম্বর ভোরে খুলনা-সাতক্ষীরা সুন্দরবন অংশে প্রবেশ করে তখন অনেকটাই দুর্বল। উপকূলে আঘাত হানার সময় ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকার কথা ছিলো ১২০-১৪০ কিলোমিটারের মধ্যে। তবে ভারতের সুন্দরবন অংশে শক্তি ক্ষয় হওয়ায় বাংলাদেশ অংশে বাতাসের গতিবেগ নেমে ১০০-১২০ কিলোমিটারে। ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হলেও উপকূল অতিক্রম করার সময় ৪ ঘন্টা নিয়েছে।
খুলনার ফসলি জমিতে এখন বুলবুলের ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। মাটিতে মিশে গেছে আমন ধান, শাকসবজি, সরিষা, পানের বরজ, পেপে ও কলাগাছ।
কৃষি সম্প্রসারণ জেলা অফিস সূত্র জানান ২৫ হাজার হেক্টর আমন ধান ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতির পরিমাণ ২৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ৮৬৪ হেক্টর জমির শাকসবজি নষ্ট হয়েছে। কৃষকের ক্ষতি ১২ কোটি তিন লাখ টাকার। ৪০ হেক্টর জমির সরিষা ক্ষেত নষ্ট হয়েছে, এখানে ক্ষতি ৩০ লাখ টাকা। ৩৬ হেক্টর জমির পানের বরজ লন্ডভন্ড হয়েছে, আর্থিক ক্ষতি ৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকার। ১৫২ হেক্টর জমির কলা ও পেপে গাছ মাটির সাথে মিশেছে, কৃষকের ক্ষতি ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা মূল্যের। ২০১৭ সালের মহসেনে দাকোপে দেড়শ’ হেক্টর জমির তরমুজ নষ্ট হয়।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোছাদ্দেক হোসেন জানান, উপজেলার বরাতিয়া, শলুয়া, শরাফপুর ও রংপুর গ্রামে পেপে ও কলা বাগানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শরাফপুর ও বরাতিয়া গ্রামে আমন ধান ধান মাটির সাথে মিশে গেছে। এ উপজেলায় ২ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জেলা কৃষি অফিসের সূত্র জানান, কৃষি পণ্যের ক্ষতির বিবরণ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।