খাল খননে বাঁধ দেওয়ায় জলাবদ্ধতা ভোগান্তিতে  কৃষক

0
313
কয়রা প্রতিনিধি ঃ কয়রায় খননের নামে খালে  বাঁধ দেয়ায় ১ ইউনিয়নের ৪ টি গ্রামের বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে । ফলে  বীজতলা তৈরীর উপযুক্ত সময় হলেও এখনও বিল সংলগ্ন এলাকার কৃষকরা আমন  বীজতলা তৈরী করতে পারছে না । ফলে আমন  আবাদ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে কৃষকদের মাঝে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছে কৃষক ও এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কয়রা উপজেলায় বাগালী ইউনিয়নের কয়েকটি বিল বৃষ্টিতে তলিয়ে
যায়। বর্ষা মৌসুমে আমনের বীজ তলা রোপনে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। বাগালী ইউনিয়নে বামীয়া,
কলাপাতা, ইসলামপুর, খোলার চক, ঘুগরাকাটি সহ আশপাশ কয়েকটি বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম বাগালী ইউনিয়নের শিংয়ের খাল। এলাকাবাসীর অভিযোগ শিংয়ের খালটি কয়েকদিন যাবত খনন কাজ করায় খালের মাঝে একটি বাঁধ দেওয়ায় পানি নিষ্কাশনের বাঁধা গ্রস্থ হয়। ফলে উক্ত এলাকার ৩ হাজার হেক্টর
জমির ধান চাষের বীজতলা রোপনে বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে । বীজ তলা করতে না পারায় হতাশাগ্রস্থ কৃষক ও
সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মিলন সানা জানান, খাল খননের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীর গতি ও অসময়ে খাল খনন করায় ঠিকাদারী কাজের জন্য খালের মাঝে বাঁধ দেওয়ায় পানি নিষ্কাশন
বাঁধা গ্রস্থ হয়ে বীজ তলা রোপনে  বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে শতশত কৃষক। তিনি আরও বলেন, খাল খননে এলাকা বাসীর সুবিধার পরিবর্তে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষক ও সাধারণ মানুষের চলাচলে
ব্যাপক অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষক মহসিন জানান, জলাবদ্ধতার কারনে বীজতলা রোপন করতে পারছিনা। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে এ বছর ধান লাগানো সম্ভব হবেনা। বাগালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ সামাদ গাজী বলেন, বর্ষা মৌসুমে খাল খনন এলাকাবাসীর সুবিধার পরিবর্তে শুকনো মাটির রাস্তা কেটে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে চলাচলের রাস্তা দায় সারা ভাবে বানানো হচ্ছে, ফলে এলাকার মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এব্যাপারে খাল খনন কাজের তদারকি দায়িত্বপ্রাপ্ত তামিজুল ইসলাম ও শাহিনুর গাইন বলেন, এলাকাবাসীর সুবিধার্থে  খাল খননের কাজের জন্য খালের মাঝে বাঁধ দেওয়া হয়। তবে জলাবদ্দতা সৃষ্টি হওয়ায় এলকাবাসীর সুবিধার্থে  বাঁধটি কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করা যায় আগামী দুই দিনের মধ্যে বিলের পানি কমে যাবে এবং সাথে সাথে কৃষক বীজ তলা রোপন করতে পারবে। করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্পানের কারণে কাজে একটু বিলম্ব হয়েছে বলে ও জানান তারা।