খালিশপুরে বিয়ের প্রলোভনে স্বামী পরিত্যক্তা একনারীকে ৬বছর ভোগ করার অপরাধে লম্পট বিপ্লব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা

0
774

ফকির শহিদুল ইসলামঃ
নগরীর খালিশপুরে বিয়ের প্রেলোভন দেখিয়ে মুজগুন্নি কাজীপাড়া খ্রিস্টান পল্লীর তানিয়া মন্ডল(২৮) নামের এক ডিভোর্সী নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দীর্ঘদিন ভোগ করে । লম্পট বিপ্লব  তানিয়ার সাথে প্রতারনা আশ্রয় নিয়েভোগ করে তাকে বিয়ে করতে অস্বিকার করে। সম্প্রতি তানিয়া প্রেমিক বিপ্লব বিশ্বাসকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বিপ্লব বিশ্বাস তার সহযোগিদের নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে আট ঘটিকার সময় মুজগুন্নি ১৬নং সড়কে তার শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে । মুজগুন্নি খৃস্টান পাড়ার মৃত পিতর বিশ্বাসের পুত্র পদ্মা অয়েল কোম্পানীর অস্থায়ী শ্রমিক বিপ্লব বিস্বাসের সাথে তানিয়া মন্ডলের ৬বছর প্রেমের সম্পর্কের পাশাপাশী দৈনিক সম্পর্ক ছিল । এবং প্রেমের এ সম্পর্কের কারনে বিপ্লব তানিয়াকে স্ত্রীর ন্যায় ভোগ করে আসছিল । এ বিষয়টি নিয়ে তানিয়াকে বিপ্লবের পরিবার খৃষ্টান পল্লিতে নোংরা ভাষায় গালাগালি করে এবং তানিয়া কিভাবে বিপ্লবকে বিয়ে করবে সেটা দেখে নেয়ার কথা জানান বিপ্লবের মা ,ভাই,বোনসহ পরিবারের অন্যান্ন সদস্যরা । বিপ্লবের পরিবারের এ কথায় বিপ্লব উৎসাহিত ধামাচাপা দিতে  তার সহযোগিদের নিয়ে তানিয়াকে ঘর থেকে গত শনিবার ডেকে নিয়ে মুজগুন্নি ১৬নং সড়কে তার শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে ।এ ঘটনায় তানিয়া মন্ডল বাদী হয়ে অভিযুক্ত বিপ্লব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে । মামলার বিষয়টি খালিশপুর থানার ওসি সরদার মোশারেফ হোসেন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মেয়েটিকে চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।আসামি বিপ্লবকে ধরতে অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।

জানাগেছে,মুজগুন্নি খৃস্টান পাড়ার মৃত রবিন মন্ডলের কন্যা তানিয়া মন্ডল (২৮) এর সাথে একই এলা কার মৃত বিপ্লব বিশ্বাসের পুত্র বিপ্লব বিশ্বাসের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । আর এই গভীর প্রেমের সম্পর্কের কারনে এক সন্তানের জননী তানিয়া মন্ডলের স্বামীর সাথে ছাড়া ছাড়ি হয় । তানিয়ার এ বিবাহ বিচ্ছেদের প্রধান ভুমিকা পালন করছে তার দির্ঘদিনের প্রেমিকা বিপ্লব বিশ্বাস । তানিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল দির্ঘ ৬বছর তার সাথে স্বামী স্ত্রীর ন্যায় দৈহিক মিলনের পাশাপাশি চলাফেরা করে । তাদের এ চলাফেরা নিয়ে এলাকাবাসী কানাঘুসা করলে তানিয়া বিপ্লবকে বিয়ের জন্য বলে । বিয়ের কথা বললেই লম্পট প্রতারক তানিয়াকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাকে ভোগ করতে থাকে । এ দিকে বিপ্লবর পিতা পিতর বিশ্বাস মৃত্যু বরন করলে তার কর্মস্থল পদ্মা অয়েল কোম্পানীেতে বিপ্লবলের চাকরী হয় । চাকরী হওয়ার দির্ঘদিন হওয়া সত্বেও বিপুল তানিয়াকে বিয়ে না করায় তানিয়া বিপ্লবকে জানায় এভাবে আর কতদিন চলবে তুমি আমার সংসার ভেঙ্গেছো ৬বছর এখনো বিয়ে করছো না । এ কথা বলায় বিপ্লব তানিয়াকে বলে চাকরীটা স্থায়ী হলে তোমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হবে । তার কথায় তানিয়া কিছুদিন চুপ থাকে অন্যদিকে বিপ্লব’র পরিবার বিপ্লবকে বিয়ে দেয়ার জন্য মেয়ে দেখে বিপুলও তাতে সায় দেয় । এ খবর তানিয়া জানতে পেরে বিপ্লবকে দ্রুত বিয়ে করার চাপ দেয় । ধুরন্দর লম্পট বিপ্লব বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহন না করে তার বন্ধ বান্ধবদের নিয়ে তানিয়াকে ধর্ষন করার পরিকল্পনা করে । তারই ধারাবাহিকতায় বিপ্লব বিশ্বাস তানিয়াকে বলে চলো আজ তোমাকে বিয়ে করবো এই বলে তানিয়াকে ঘর থেকে বের করে আনে । ঘর থেকে বেরিয়ে বিপুল তানিয়াকে মুজগুন্নী কাজীপাড়া ১৬নং সড়কে নিয়ে আসে । বিপ্লব’র পরিকল্পনা অনুযায়ী তানিয়া ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই বিপ্লব,টুটুলসহ অজ্ঞাত ৩/৪জন বিপ্লব’র সহযোগিরা তানিয়াকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায় এবং তার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ,মোবাইল,নগত টাকাসহ প্রায় লক্ষটাকার বিভিন্ন প্রকার স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নেয় । এ সময় তানিয়া ডাকচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তানিয়াকে উদ্ধার করে । খবর পেয়ে খালিশপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পুর্বেই লম্পট বিপ্লব তার সহযোগিদের নিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করে আত্মগোপন করে । এ ঘটনায় তানিয়া মন্ডল বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় একটি ধর্ষন মামলঅ দায়ের করেন ।