কয়রায় সামাজিক বনের রোপনকৃত বৃক্ষের বেহাল দশা

0
392

কয়রা (খুলনা)প্রতিনিধি:
সামাজিক বন বিভাগের উদ্যোগে খুলনা জেলার কয়রা সদরের ৮ কিলোমিটার রাস্তার পাশে রোপনকৃত প্রায় ৮ হাজার বৃক্ষের বেশিরভাগ গাছের অস্তিত্ব নেই বললে চলে। গত বর্ষা মৌসুমে কয়রা সদরের মদিনাবাদ হাইস্কুল মোড়ের পূর্ব দিক হতে ৪নং কয়রা সরকারি পুকুর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা, ৩নং কয়রার কালিবাবুর মোড় হতে ৬নং কয়রা লঞ্চঘাট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তা এবং থানার পেছনের আরো ১ কিলোমিটার রাস্তায় সর্বমোট প্রায় ৮ হাজার নিম, বাবলা, জাম, নারিকেল, আকাশমনি সহ অন্য প্রজাতির বৃক্ষের চারা রোপন করে সামাজিক বন বিভাগ। কিন্তু বর্তমানে সেখানে হাতেগোনা কিছু বাবলা গাছ সহ ৬/৭শ বৃক্ষ দেখতে পাওয়া যায়। ফলে একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় অন্যদিকে বনায়নের মাধ্যমে সবুজায়ন কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, রক্ষণাবেক্ষন ও পরিচর্যার অভাবে অধিকাংশ বৃক্ষের অস্তিত্ব নেই। এ কাজে তিনজন ওয়াচার (কর্মচারী) নিযুক্ত থাকলেও গাছের পরিচর্যায় তাদের ঠিকমতো দেখা মেলে না। অরক্ষিত গাছের চারাগুলোর বেশিরভাগ গরু ছাগলে খেয়ে ফেলেছে। বাবলা গাছ কাটাযুক্ত হওয়ায় কিছু বাবলা গাছ রাস্তার পাশ দিয়ে দেখতে পাওয়া যায়। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ৩নং কয়রার বৃক্ষ রক্ষণাবেক্ষন কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোল্লা আবু দাউদ বলেন, ঘেরাবেড়ার অভাবে অধিকাংশ গাছের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। গাছ রক্ষণাবেক্ষনে প্রয়োজনীয় ঘেরাবেড়া দেওয়া দরকার, কিন্ত সেটা হচ্ছে না। সামাজিক বন বিভাগের একজন কর্মচারী মাঝে মধ্যে এসে রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর করে নিয়ে যায়। সামাজিক বনের উপজেলা সদরের সাইনবোর্ড বিহীন অফিসটি প্রায় সময় বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সামাজিক বনের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রেমানন্দ রায়, ফরেষ্টার বলেন, গাছ রক্ষায় বাড়তি কোন বরাদ্দ নেই। প্রকল্পের মেয়াদও শেষ, আগামীতে যদি নতুন প্রজেক্ট শুরু হয় তখন গাছের রক্ষণাবেক্ষনের বিষয়টি দেখা যাবে। উপজেলা সদরে সামাজিক বনের অফিসে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই এবং বসবার জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র না থাকায় ঠিকমতো অফিস করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান।