কয়রায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মানের স্থান পরিদর্শনে এমপি ও পর্যটন সচিব

0
546

ওবায়দুল কবির(সম্রাট):কয়রা (খুলনা)প্রতিনিধি :

খুলনার কয়রায় সুন্দরবনের গোলখালীতে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণের জন্য পরিদর্শন করেছেন খুলনা ০৬ সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু ও বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ মহিবুল হক। গতকাল ০৬ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১ টায় কয়রা উপজেলা দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালীর সম্ভাব্য শিংয়ের চ্বরসহ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন তারা।পরিদর্শন কালে এমপি বাবু বলেন, আমাদের ছোট্ট এ দেশে হয়ত কোনো সোনা, রূপা কিংবা হীরার খনি নেই। কিন্তু রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন তার, মধ্যে সুন্দরবন অন্যতম । এই সুন্দরবনকে সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। পৃথিবীর অনেক দেশ স্বমহিমায় উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শুধুমাত্র পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে।গোলখালীর সিংয়ের চরে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে ৩ টি নদীর মোহনা এবং ৩ দিকে গভীর সুন্দরবন থাকায় পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। কয়রা গোলখালীতে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ হলে আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে সহয়ক হিসাবে কাজ করবে কয়রা পর্যটন কেন্দ্র। যা দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে এবং অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।এছাড়া তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার কল্যানে অচিরেই কয়রায় একটি পর্যটন নগরী হিসেবে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ করবে বলে তিনি সকলকে আশ্বস্ত করেন। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ মহিবুল হক বলেন,পর্যটন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। কয়রার সুন্দরবনের অপরুপ সৌন্দর্যের মুগ্ধ হয়ে তিনি আরো বলেন, খুলনার কয়রায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু খুবই আন্তরিত।যে কারনে কয়রার প্রতি সরকারের সুনজর আছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি মাস্টারপ্লান কাজও শুরু করেছে।মাস্টারপ্লান চুড়ান্ত হওয়ার পর তার বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।জায়গা পরিদর্শনকালে তাদের সঙ্গে কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজা, কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, কয়রা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা, সহকারী কমিশনার নুরে-ই আলম সিদ্দিকী, জেলা যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবু, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাফর রানা, ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানী, আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু, প্রভাষক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।