কূলপোতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

0
336

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালা কূলপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তুলসি মণ্ডল সহ অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ১৫৯নং কূলপোতা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শংকরী সরকার। বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন প্রশিক্ষনে, আর বিনা ছুটিতেই অনুপস্থিত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। একজন সহকরী শিক্ষক একাই সামলাচ্ছেন বিদ্যালয়ের পাঠদান সহ সকল কার্যক্রম।
অভিযোগে জানাযায়, বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তার খেয়ালখুশি মতো কাজ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শংকরী সরকার। বিনা ছুটিতেই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন।বাড়ির পাশে স্কুল থাকায় নিজের মর্জিমতো স্কুলে যাতায়াত করেন তিনি।স্কুলে নিয়মিত হাজির না হলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর থাকে তার।
এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি তুলসি মণ্ডল ও সদস্য বিরেন্দ্র নাথ রায় জানান, কমিটিকে না জানিয়েই প্রধান শিক্ষিকা ৫ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ভারতে গেছেন। তার এ অনিয়মের বিষয় সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ অভিভাবকরা মুখ খুললে তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারী অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন কুলপোতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি, সহকরী শিক্ষক মোঃ শফিউল আলম জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শংকরী সরকার আজ আসেননি, বাকী দুজন প্রশিক্ষনে।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে উপস্তিত না থাকলেও ৬ তারিখে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও মুভমেন্ট রেজিষ্টার বেতন উত্তোলনে তালায় গমন আপডেট করা আছে।
সহকরী শিক্ষক মোঃ শফিউল আলম এর কাছে ছুটি নিয়েছেন কিনা? প্রশ্নের জবাবে ছুটির ফাইল বের করে দেখান।সেখানে তালা উপজেলার সহকরী শিক্ষা অফিসার মাছরুরা খাতুন কর্তৃক ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি অনুমোদনের কপি পাওয়া যায়। বৃহষ্পতিবার অনুপস্থিতি থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও মুভমেন্ট রেজিষ্টাররে কারন সম্পর্কে শিক্ষক মোঃ শফিউল আলম কোন জবাব দিতে পারেননি।
এবিষয়ে কুলপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শংকরী সরকারের ব্যবহারিত মোবাইলে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এসব বিষয় নিয়ে সহকরী শিক্ষা অফিসার মাছরুবা খাতুন এ প্রতিবেদককে বলেন, বিদ্যালয়ে তাঁর অনুপস্থিতির বিষয়টি আমি ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছি এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। মোট ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জন প্রশিক্ষনে থাকার পরও প্রধান শিক্ষিকাকে ছুটি দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে মাছরুরা খাতুন বলেন, আমি এ উপজেলাতে সম্প্রতি যোগদান করায় এ বিষয়টি অবগত ছিলাম না।
তালা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষিকা শংকরী সরকারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে।