কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন বানচাল ও মালামাল চুরির ঘটনায় মামলা

0
525

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, খুলনাটাইমস:
কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বি বার্ষিক সাধারণ নির্বাচনের দিন অবৈধ পেশি শক্তির মহড়া দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নির্বাচন বানচাল করে দিয়ে নগদ টাকাসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার গুরুত্বপুর্ণ মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মোতাবেক দু বছর পর পর প্রেসক্লাব সদস্যদের ভোটাধিকারের মাধ্যমে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণসভা ও ভোট গ্রহণের দিন পুর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়া হলে সেদিনই অবৈধ পেশি শক্তির মহড়া দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নির্বাচন বানচালসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার গুরুত্বপুর্ণ মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মনোয়ার হোসাইন রনি বাদী হয়ে মারুফ আহমেদ খোয়াজ, আহমেদ উল্লাহ,সাকাউদ্দিন আহাম্মদ রাজন,সাইফ উদ্দিন আহমেদ লেনিন ও শামসুল আলম শাহীনসহ অজ্ঞ্যাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইকবাল মাহমুদ মামলাটি আমলে নিয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানাকে আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য মারুফ আহমেদ এই নির্বাচন বাতিলের জন্য কিশোরগঞ্জের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত উক্ত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের করলে আদালত প্রেসক্লাব নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্থিতিবস্থার নির্দেশ দেন। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল মালেক চৌধুরী হাইকোর্টে উক্ত আদেশ চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য জেলা ও দায়রা জজের আদেশ স্থগিত করেন। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দেয়।
প্রেসক্লাব নির্বাচনে যাতে করে কোন অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি না হয় সে জন্য প্রায় দুই শতাধিক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। কিন্ত এসব উপেক্ষা করে মামলার বাদী মারুফ আহমেদ, আহমেদ উল্লাহ, সাকাউদ্দিন আহমেদ রাজন, সাইফ উদ্দিন আহমেদ লেনিন ও শামসুল আলম শাহীনসহ কতিপয় বহিরাগত লোকজন প্রেসক্লাব নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে দেয়নি।