কাদাকাটি প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক অপরাধ ঢাকতে ম্যানেজ করেও পার পাননি

0
321

আশাশুনি প্রতিনিধি: স্কুলের শিক্ষার্থীকে পিটানোয় পারদর্শী ও ম্যানেজ পটিয়সী প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম নিজের অপরাধ ঢাকতে অভিভাবক, এসএমসি সভাপতি ও ইউপি সদস্যকে ম্যানেজ করেও পার পাননি। অবশেষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে বলে জানাগেছে। স্কুলে বেতের ব্যবহার সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ থাকলেও ভ্রুক্ষেপ না করে শিক্ষার্থীকে প্রহার, মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন, ভীতি প্রদর্শন করে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনায় পড়েন আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম। এ পর্যন্ত অনেকবার তিনি শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও, মারপিট করা এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও রূঢ় আচরনের ঘটনা ঘটিয়েছেও ম্যানেজে পটিয়সী প্রধান শিক্ষক এসএমসি সভাপতি ও বন্ধু শিক্ষকদের কাজে লাগিয়ে অপরাধ মিটিয়ে নিয়েছেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী সোমাইয়া খাতুন জিবাকে কঞ্চির লাঠি দিয়ে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে জিবার হাতের তালু রক্তাক্ত জখম করেন তিনি। কিছুদিন আগে ৩য় শ্রেণির ছাত্র বর্তমানে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র সাকিবকে নির্মমভাবে পিটিয়েছিলেন এই প্রধান শিক্ষক। এছাড়া স্কুলের মায়শা, মারিয়া. জুইসহ অনেক শিক্ষার্থী তার হাতে লাঠিপেটার শিকার হয়েছে। তার অপকর্মের খবর বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম দু’জন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে সাথে নিয়ে ৪ মার্চ স্কুল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রহৃত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ঘটনার সত্যতা তুলে ধরেন। অভিযুক্ত শিক্ষকও প্রহার করার কথা স্বীকার করেন। এলাকার বহু অভিভাবক উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানান। উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম ৯ মার্চ ডিপিইও মহোদয় বরাবর লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ডিপিইও মহোদয় প্রতিবেদনের সাথে একমত পোষণ করে ১০ মার্চ উপ পরিচালক খুলনা বিভাগ খুলনার দপ্তরে ইমেইল ও ডাকযোগে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। উপ পরিচালক মহোদয় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার ব্যবস্থা করেন বলে জানাগেছে। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম জানান, লিখিত প্রতিবেদন ডিপিইও মহোদয়কে দেওয়ার পর তিনি খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করেন, শুনেছি। কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এখনো জানতে পারেনি। প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা বিভাগ খুলনার শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এলাকার সচেতন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ জানান, এভাবে দিনের পর দিন একজন প্রধান শিক্ষক অনৈতিক কার্যকলাপ চালাতে পারেননা। সরকারি নিয়ম নীতিকে বেমালুম ভুলে গিয়ে বা তুয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে অন্যায় করার পরও কেন তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করবেন না? এভাবে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলবে? তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।