কলকাতার কাছে দল্লিরি বড় হার

0
400

ক্রীড়া প্রতিবেদক
৮ রানে আউট হয়ে গেছেন, সেটির হতাশা তো গম্ভীরের আছেই; ম্যাচ শেষে পুড়েছেন পরাজয়ের হতাশায়। তবে এবার আর কলকাতার অধিনায়ক হয়ে নন, প্রতিপক্ষের অধিনায়ক হয়ে। টানা সাত বছর পর ‘পর’ করে দেওয়া কতটা ঠিক হয়েছে, সাকিব আল হাসানের মতো গম্ভীরেরও সুযোগ ছিল প্রশ্নটা তুলে দেওয়ার। পারেননি দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের নতুন অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে ইডেন গার্ডেনে গম্ভীরের মুখটা ‘গম্ভীর’ই রইল। ৭১ রানে জিতে নিজেদের সাবেক অধিনায়ককে হাসতে দিল না কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কলকাতার দেওয়া ২০১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই আউট দিল্লির ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় (১)। ব্যাটিংয়ে নেমেই আউট শ্রেয়াস আইয়ারও (৪)। ব্যক্তিগত ৮ রান করে আউট গম্ভীরও। ৩ ওভারে ২৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে দিল্লি। দিল্লিকে যা একটু আশা দেখিয়েছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও রিশভ পান্ডের চতুর্থ উইকেট জুটি। কুলদীপ যাদবের শর্ট বলে পীযূষ চাওলার হাতে ক্যাচ হয়ে পান্ত ফেরেন ৪৩ রানে। ভাঙে দুজনের ৩৩ বলে ৬২ রানের জুটি। পান্ত ফিরলেও ম্যাক্সওয়েল যতক্ষণ ছিলেন, টিম টিম করে আশার বাতি জ্বলছিল দিল্লির। সেটিও প্রায় নিভে গেল কুলদীপের আরেকটি শর্ট বলে যখন ম্যাক্সওয়েল আউট হলেন ২২ বলে ৪৭ রান করে। ম্যাক্সওয়েল ফিরতেই দিল্লির পতন যেন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ১৬ রানের মধ্যে তারা হারায় অবশিষ্ট ৫ উইকেট। দিল্লির ব্যাটিং এমনই হতশ্রী, ম্যাক্সওয়েল-পান্ত ছাড়া দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেননি আর কোনো ব্যাটসম্যান!
ম্যাচ-ভাগ্য ভালো না হলেও টস-ভাগ্যটা অবশ্য বিমুখ করেনি গম্ভীরকে। দিল্লির অধিনায়ক টস জিতে বেছে নেন ফিল্ডিং। শুরুটা নড়বড়ে হলেও নিতীশ রানা আর আন্দ্রে রাসেলের দুর্দান্ত দুটি ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে গড়ে ২০০ রানে বড় স্কোর। পঞ্চম উইকেটে রাসেল-রানার ২২ বলে ৬১ রানের জুটিই ম্যাচের পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছে বললে ভুল হবে না। ৩৫ বলে ৫৯ রানের ইনিংসটা রানা সাজিয়েছেন ৫টি চার ও ৪টি ছয়ে। তবে বোলারদের ওপর তাঁর চেয়েও চড়াও হয়ে খেলেছেন রাসেল। ৬টি ছয়ে মাত্র ১২ বলে করেছেন ৪১ রান। স্ট্রাইক রেট ৩৪১.৬৬! বল হাতে দিল্লির সবচেয়ে সফল রাহুল তেওয়াতিয়া। ১৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
একসময়ের ঘরের ছেলে গম্ভীর আজ কলকাতায় ফিরলেন ‘পরের ছেলে’ হয়ে। কিন্তু কলকাতা থেকে তিনি ফিরতে পারলেন জয়ের হাসি নিয়ে!