নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনার একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী প্রেমিকাকে ধর্ষণ মামলায় কর কমিশনার প্রশান্ত রায়ের ছেলে পুত্র শিঞ্জন রায়ের একদিন রিমাণ্ড শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করলে মুখ্য মহানগর হাকিম আদলত মো. শহিদুল ইসলাম আসামীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে নিরাপত্তাহীনতায় থাকা এই মামলার বাদীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শিঞ্জন রায় তার প্রেমিকার সাথে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস করার কথা স্বীকার করেছে এবং মামলার অনেক আলামত তারা জব্দ করেছে। স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করাসহ তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমন করার প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে। যে সব বাড়ীতে তারা স্বামী-স্ত্রী রূপে বসবাস করতো তারাই পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছে যে, শিঞ্জন রায় ও তার প্রেমিকাকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাসের জন্য ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন। শিঞ্জন রায়ের প্রেমিকার বান্ধবীর কাছে সম্প্রতি কূয়াকাটা ভ্রমনের কিছু ছবি পুলিশ জব্দ করে আদালতে জমা দিয়েছে। এসব ছবিতে দেখা যায়, শিঞ্জন রায় তার প্রেমিকাও কপালে সিঁদুর লাগিয়ে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী হিসাবে পরিচিতি দিয়েছে। পুলিশ হেফাজতে শিঞ্জন রায় সব ঘটনা স্বীকার করেছে তবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়নি।
তিনি আরও জানান, এই মামলার প্রমানাদি যা পাওয়া গেছে তাতে স্বীকারোক্তির কোন প্রয়োজন নাই। সব থেকে বড় প্রমাণ মেয়েটি সাত মাসের গর্ভবতী এবং শিঞ্জন রায়ও তা অস্বীকার করছে না।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই তৌহিদুর রহমান আদালতের কাজে শিঞ্জন রায়ের পাসপোর্ট জব্দ করার অনুমতি প্রার্থণা করেছেন।
উল্লেখ্য, শিঞ্জন রায় খুলনার কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়ের কনিষ্ঠ পুত্র। প্রেমিকা সাত মাসের অন্তসত্তা থাকার পরও ১৪ আগষ্ট অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু ১৬ আগষ্ট তার বৌ-ভাতের নির্দিষ্ট দিনের আগে প্রেমিকার দায়ের করা মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
