কপিলমুনির হাট-বাজার উন্নয়নে নতুন নেতৃত্বে খুশী এলাকাবাসী

0
408

কাঁদামুক্ত কপিলমুনিতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি খুশী এলাকাবাসী

:::শেখ নাদীর শাহ্,কপিলমুনি:::

চরম অব্যবস্থাপনা,পরিকল্পনাহীনতা ও হাট ও বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির মনিটরিং না থাকায় মুখ থুবড়ে পড়া দক্ষিণ খুলনার অন্যতম প্রধান কপিলমুনি হাট ও বাজার (বিনোদগঞ্জ) অবশেষে স্যাঁতসেঁতে ও কাদামুক্ত হচ্ছে। দীর্ঘ দিন হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়ায় ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় চলতি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে কপিলমুনির একটি বড় অংশে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। এতে হাঁটু পর্যন্ত কাঁদায় সপ্তাহের দু’টি হাট বৃহস্পতি ও রবিবার ছাড়াও প্রাত্যহিক বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ বাইরের হাটুরিয়াদের দূভোগ চরমে পৌছায়। অতি কষ্ঠে হাট-বাজার চালিয়ে নিতে ব্যবহার করা হয় অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় হাট ইজারাদার কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি হাট-বাজার। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে আকষ্মিক কপিলমুনিতে কোন প্রকার বরাদ্দ ছাড়াই শুরু হয়েছে কর্দমাক্ত নিচু এলাকার মাটি ভরাটের কাজ।

হাটুরিয়াদের পাশাপাশিিএলাকাবাসী স্যাঁতসেঁতে কপিলমুনিকে কাঁদামুক্ত করায় ব্যাপক খুশী। তবে বরাদ্দ ছাড়াই কারা করছে এই উন্নয়নমুখী কার্যক্রম? কেনইবা করছে তারা? এমন নানামুখী প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সরেজমিনে প্রকিবেদনকালে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কোন প্রকার স্বার্থ ছাড়াই হাটুরিয়াদের জন্য উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন,স্থানীয় কপিলমুনি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা জিএম আব্দুর রাজ্জাক রাজু। স্থানীয় সুহৃদদের সহযোগীতায় ইতোমধ্যে তিনি ঐ কাজ করছেন।

এব্যাপারে বরাবরই আলোচনায় থাকা ও প্রচার বিমুখ তরুন সমাজ হিতৈশী আব্দুর রাজ্জাক রাজুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কপিলমুনির ছেলে কপিলমুনির মাটি-বাতাস গায়ে মেখেই বড় হয়েছেন। সম্প্রতি কপিলমুনি-কাশিমনগর হাট ইজারাদার সরকারি ইজারামূল্য পরিশোধ না করায় বাজার থেকে ছিটকে পড়েছেন। সরকারি রাজস্ব আদায়ে নিয়মানুযায়ী সকলকে সাথে নিয়ে তিনি সরকারকে খাস আদায়ে সহযোগিতা করছেন। এই কিছু দিন ব্যবসায়ীদের সাথে থাকতে গিয়ে তাদের দূরভোগের বিষয়টি তার নজরে আসে।

এরপর খুলনা-৬ এর মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব আক্তারুজ্জামান বাবুর দিক-নিদেশনায় তার নেতৃত্বে বাজার উন্নয়ন তথা বর্ষা মৌসুমে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি লাঘবে সেখানকার মাটি ভরাট কার্যক্রম শুরু করেছেন।

ইতোমধ্যে ভরাট কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে উল্লেখ করে স্থানীয় কপিলমুনি ভূমি অফিসের ইউএলও মো: জাকির হোসেন এপ্রতিবেদককে বলেন, সকলের সহযোগীতায় আব্দুর রাজ্জাক রাজুর মহতী উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। এসময় হাটে মাটি ফেলতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন বলেও যোগ করেন তিনি। তবে সকল প্রতিবন্ধকতাকে পাশ কাটিয়ে রাজ্জাকের নেতৃত্বে উন্নয়ন কাজকে এগিয়ে নিতে তাকে সহযোগিতারও আশ্বাস দেন এ কর্মকর্তা।

সব বাঁধা কাটিয়ে তরুণ নেতৃত্বে এগিয়ে যাক কপিলমুনির সামগ্রিক উন্নয়ন। পূরণ হোক নতুন নতুন স্বপ্ন। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি এমন প্রত্যাশা এলাকার সর্বস্তরের মানুষের।