কপিলমুনির পুকুর থেকে গৃহবধূর অর্ধ উলঙ্গ লাশ উদ্ধার:ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন

0
836

শেখ নাদীর শাহ্,কপিলমুনি(খুলনা) ::

কপিলমুনির নগরশ্রীরামপুরের একটি পুকুর থেকে পপি বেগম (২৬) নামে দু’সন্তানের এক জননীর অর্ধ উলঙ্গ লাশ উদ্ধার হয়েছে। পপি স্থানীয় লাভলু গাজীর স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী প্রতাপকাটির খোকন গাজীর মেয়ে। পারিবারিক সূত্র জানায়,পপি দুপুর ২ টার দিকে বাড়ি থেকে পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। তবে দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে পুকুরসহ আশ-পাশের সম্ভাব্য সব জায়গায় ব্যাপক খোঁজাখুজি করতে থাকে। একপর্যায়ে পুকুরের মধ্যে শাকবনের নীচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

মৃতের পরিবারের দাবি,বেশ কিছু দিন যাবৎ তার মস্তিষ্ক বিকৃত ছিল,এমনকি ব্রেইন স্ট্রোকে তার মৃত্যু হতে পারে বলে তাদের দাবি। তবে ধারণা করা হচ্ছে,তার মৃত্যুটি রহস্যজনক। পুলিশ লাশের সুরোত হাল রিপোর্ট প্রস্তুত করলেও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়নি।

কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাবুল আকতার জানান,মৃতের পরিবার থেকে অনাপত্তির বিষয়ে লিখিত পেয়ে তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়নি। তবে সুরোত হাল রিপোর্টে তাকে হত্যার কোন আলামত পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
এলাকাবাসী জানায়,সোমবার সন্ধ্যার দিকে পুকুর থেকে উলঙ্গপ্রায় অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার হলেও খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে কপিলমুনি ফাঁড়ি পুলিশ তার বাড়ি থেকে লাশের সুরোতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে।

পুকুর থেকে লাশ উদ্ধারকারী স্থানীয় রজব আলী সরদার ও মহাতাব হোসেন জানান,পুকুরের ঘাট থেকে বেশ দূরে ছামছি শাকবনের নীচ থেকে উলঙ্গপ্রায় অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার হয়,ব্লাউজ গায়ে থাকলেও সামনের বোতামগুলি খোলা ছিল।এমনকি এসময় লাশের পেট স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। তবে তার কান,মুখ ও নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। নানাবিধ কারণে বিষটি চরম রহস্যে ঘেরা মনে হলেও পপির পরিবার লাশের ময়না তদন্ত না করতে তার মস্তিষ্ক বিকৃত ও স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছে। আর স্থানীয় পুলিশও বিষয়টি মেনে নিয়ে তার ময়না তদন্ত না করেই দাফন সম্পন্নের অনুমতি দেয়। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে পপির লাশ তার পিত্রালয় প্রতাপকাটিস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মৃত পপির ৬ বছরের ১টি মেয়ে ও বছর দেড়েকের ১ টি ছেলে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৭ বছর আগে উপজেলার কপিলমুনির প্রতাপকাটি গ্রামের খোকন গাজীর মেয়ে পপির সাথে উপজেলার গদাইপুরের ছামাদ গাজীর ছেলে লাভলু গাজীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা কপিলমুনিতে প্রথমে ভাড়া বাসা ও পরে নগরশ্রীরামপুর এলাকায় জমি কিনে সেখানে ঘর করে বসবাস করে আসছিল। লাভলু স্থানীয় একটি চায়ের দোকানদার।