কপিলমুনিতে ক্যান্সারাক্রান্ত ছোট্ট জনির বাঁচার আকূতি

0
633
কপিলমুনির সাড়ে ৫ বছরের জনির ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রয়োজন ৫/৬ লাখ টাকা

শেখ নাদীর শাহ:::


হে আল্লাহ,তুমি আমার অসুখ ভাল করে দাও। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা। কথাগুলো সারাক্ষণ যন্ত্রনায় কাতর ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত পাইকগাছার কপিলমুনির রেজাকপুর গ্রামের ছোট্ট রাব্বির। পুরো নাম রাব্বি ইসলাম জনি। বয়স মাত্র সাড়ে ৫ বছর। নিজেও জানেনা কি রোগে আক্রান্ত সে।

গত প্রায় ৬ মাস আগে ধরা পড়া ক্যান্সার ইতোমধ্যে তার অভাবি পরিবারকে নি:স্ব করে ছেড়েছে। ডাক্তাররা বলছেন,এখনো উন্নত চিকিৎসায় সুস্থ্য করা সম্ভব তাকে। তবে এজন্য প্রয়োজন প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। যা সংগ্রহ করা তার অভাবি পিতা-মাতার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। তবে বুকের ধন ছেলেকে বাঁচাতে অসহায় বাবা-মা এবার ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। রাস্তার পাশে ছেলেকে বসিয়ে মাইকে পথচারীদের জানান দিচ্ছেন,তাদের ক্যান্সার আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচানোর আকুতির কথা। পথচারীরারও দাঁড়িয়ে যে যার মত করে সাহায্য করছেন। ড. ভূপেন হাজারিকার গানের ভাষায় বলতে ইচ্ছে করছে, মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য। একটু সহানুবূতি কি মানুষ পেতে পারেনা। হ্যাঁ সহানুভূতি পেতেই পারে। স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ থেকে শুরু করে সামাজিক,সাংষ্কৃতিক প্রতিষ্ঠানও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে স্থানীয় সম্মিলিত সহায়তা গত ১ সপ্তাহে ১ লক্ষ টাকাও পুরোতে পারেনি।

এদিকে সময়ও যে,পার হয়ে যাচ্ছে। তাদেরতো প্রয়োজন ৫/৬ লক্ষ টাকা। এজন্য অসহায় পরিবারটি দেশের সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সর্ব্বচ্চ সহানুভূতি কামনা করেছেন।

ক্যান্সার আক্রান্ত রাব্বি ইসলাম জনির অসহায় পিতা মো: আজিবর গাজী জানান, প্রায় ৬ মাস আগে তার প্রচন্ড জ্বর অনুভূত হয়। এজন্য তিনি ছেলেকে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। তবে জ্বর পড়লেও আবার আসে। ওষুধে সেবনে ফের জ্বর পড়লেও আবার ফিরে আসে। বিষয়টি ডাক্তারের কাছেও সুবিধার মনে না হওয়ায় তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। এরপর ছেলেকে পর্যয়াক্রমে শিশু হাসপাতাল,এরপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসায় তার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। সম্প্রতি তার গলার ডান পাশে ছোট্ট টিউমারের মত ও পরে তা ফেঁটে ব্যাপক যন্ত্রনা শুরু হয়েছে। দিনের বেলায় যন্ত্রণা কিছুটা কম থাকলেও রাতে বাড়ছে কয়েক শ’ গুণ গতিতে। ছেলেকে মিথ্যা শান্তনায়-বাবা ভাল হয়ে যাবে আরেকটু সহ্য করো। এইতো রাত রাত পোহালো নানান প্রলাপে সারাটা রাত জেগে বাবা আজিবার ও মা সাহিদা বেগমের কোলে চড়ে রাত কাটে তার। এভাবে রাতের পর দিনের শুরুতেই আবার ভিক্ষার ঝুলিসহ ছেলের বেঁচে থাকার আকুতি নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে চলা।

জনির মা সাহিদা বেগম এ প্রতিবেদককে বলেন, তার দু’ছেলের মধ্যে জনি ছোট। ইতোমধ্যে ছোট ছেলের করুণ পরিণতিতে বড় ছেলের লেখা-পড়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

তার চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠাতে অসহায় বাবা-মা সকলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। তাকে সাহায্য পাঠানো যাবে-০১৯১৬-৫৮৪৯১২ বিকাশে অথবা, সঞ্চয়ী হিসাব নং-০২০০০০৫০৭৬৫৪৯ অগ্রণী ব্যাংক কপিলমুনি শাখা।