এ কেমন শত্রুতা! ভেঙ্গে দেওয়া হল অসহায় পরিবারে বসতবাড়ি

0
460

দেবহাটা প্রতিনিধি:
দেবহাটার সখিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে অসহায় নারীর বাড়ির সামনে প্রভাবশালী প্রতিবেশীর হাঁস মরে পড়ে থাকাকে কেন্দ্র করে দূর্ধষ হামালা চালিয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করার ঘটনা ঘটেছে। বরিবার সন্ধার পূর্বে এ ঘটনা ঘটে চন্ডিপুর গ্রামের খাদেম আলীর স্ত্রী সফুরা খাতুনের বাড়িতে। এ ঘটনায় প্রভাবশালীরা হামলা চালিয়ে দেবহাটা থানায় মিথ্যা নাটক সাজিয়ে অভিযোগ দায়েরের পায়তারা করছে। ভূক্তভোগী সফুরা খাতুন জানান, পরিবারে অভাব অনাটন থাকায় কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। বিভিন্ন ব্যক্তিদের অনুদানে গত বছর একটি ইটের তৈরী ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছেন। প্রতিদিনের ন্যায় রবিবার সকালে কাঁকড়া ধরতে চলে যান তিনি। এসময় তাাদের বাড়ির সামনে প্রভাবশালী প্রতিবেশী আমিন গাজীর ছেলে রেজাউল ইসলামের একটি হাঁস মরে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। কিন্তু সফুরা খাতুন বাড়িতে আসা মাত্র প্রতিবেশী রেজাউলের পরিবার উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকে। সফুরা খাতুন কোন বুঝতে না পেরে স্থানীয়দের সাথে আলোচনা জিজ্ঞাসা করেন। এরমধ্যে রেজাউলের শালা টাউনশ্রীপুর গ্রামের শাহাজান আলী এসে উপস্থিত হন তার বোনের বাড়িতে। এরপর শাহাজানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে অসাহান নারীর পরিবারে। অসহায় নারীর বাড়ির চাল, বাথরুম ভেঙ্গে চুরমার করে। এমনকি ঘরের ভিতর ঢুকে জিনিষপত্র ছুড়ে ছুড়ে বাহিরে ফেলে দিতে থাকে তারা। বাধা দেওয়ায় রেজাউল ইসলাম, তার স্ত্রী রেহেনা খাতুন, শালা শাহাজান, এবং আমিন গাাজীর স্ত্রী হসিনা খাতুন তাকে বেধরক মারপিট করে। তার গায়ে থাকা পোশাক ছিড়ে ফেলে শ্লীলতাহানী করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে অসহায় নারীকে রেখে চলে যায়। স্থানীয়রা জানান, রেজাউলের ভাই সিরাজুল ইসলাম পেশায় বিচারক(জর্জ)হওয়ায় তার ভাই ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। এমনকি জনসাধারণের ব্যবহৃত পুকুরে মলমুত্র ফেলে ব্যবহার অনুপোযোগী করে তুলেছে। তাদের বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ঢাকনা উঠিয়ে রাখাতে এলাকায় ব্যাপক দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাদের সাথে কোন কিছু বলতে গেলে হামলা, মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তার ভাই একজন বিচারক হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি লোক মুখে ঘটনা শুনে সেখানে যেয়ে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি জানতে পারি। তবে ক্ষতিগ্রস্থ নারী খুবই অসহায় জীবনযপন করে। আমরা স্থানীয় ভাবে সহযোগীতার মাধ্যমে তার ঘর নির্মানে সহযোগীতা করি। এমনকি সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল-আসাদ, জেলা পরিষদের সদস্যরা আল ফেরদৌস আলফা তার ঘর নির্মানে সহযোগীতা করেন। তার বাড়ি ভাংচুর করার বিষয়টি খুবই দুঃখের বিষয়। দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রেজাউলের পরিবারে কোন সদস্য তাদের বাড়িতে না থাকায় তাদের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।