একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠ ও কর্তব্য পরায়ণ পুলিশের দৃষ্টান্ত রবিউল হোসেন

0
825

কয়রা প্রতিনিধি :

পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলে ও খুলনা জেলার কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্ট ভাসি পুলিশ অফিসার।প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জনগন ও দেশের কল্যাণে । “পুলিশ জনগণের বন্ধু” তিনি এই বাক্যটির উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তিনি অন্যতম একজন আদর্শ পুলিশ অফিসার যিনি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন দেশের কল্যাণে।“পুলিশ জনতার, জনতা পুলিশের” এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন এই পুলিশ অফিসার রবিউল হোসেন । অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন খুলনা জেলার কয়রা থানার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। অধিকাংশ মানুষই তাকে গরিবের আস্থার শেষ আশ্রয়স্থল হিসাবে পরিচিত।তিনি তাঁর সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও তার বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা এবং মেধার বিকাশে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান।তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনেছেন।তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ ও অবদান রেখেছেন।জানা গেছে,অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন পুলিশে যোগদানের পর থেকেই তিনি
একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে থাকেন। তিনি সাব-ইন্সপেক্টর পদে দায়িত্বে থাকাবস্থায় কয়েকটি মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন। তার সুনিপুণ দক্ষতার ও বুদ্ধি মত্তার মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্তের ফলে দোষীরা খুব দ্রুতই আইনের আওতায় চলে আসে এবং তাদের শাস্তিও হয়।তাঁর দায়িত্বরত এলাকার লোকজন বলেন, তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। তিনি আমাদের বন্ধু তার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আমাদের এলাকা মাদক, চাদাঁবাজ, দখলবাজ, ইভটিজার, জঙ্গি, মিথ্যা মামলায় হয়রানী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মুক্ত। তারা আরো বলেন, তাঁর মতো একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠী আওয়াজ তোলা পুলিশ অফিসার পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য।এলাকার কেউ কেউ বলেন,এমন পুলিশ অফিসার তারা আগে কখনও দেখিনি যে কয়রা থানা কোনো দোকান থেকে ধার ও বাকিতে কোন দ্রব্য সামগ্রি নেন না। তার থানা এলাকায় খোজ নিলে সত্য মিলে।অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে তাদেরকে হেফাজত করতে , মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখভাগাভাগি করে নিতে। আমরা মানুষের অতন্ত্র প্রহরী আমাদের কাজ হচ্ছে দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাদাঁবাজ, ইভটিজার মুক্ত করেমানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা।আমার কাছে ধনী-গরিব, রিক্সাচালকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। একজন নির্যাতিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হলো পুলিশ। আর আমরা যদি তাদের আশ্রয় এবং তাদের সমস্যা নিরসন না করি তাহলে কে করবে। “পুলিশ জনতার এবং জনতা পুলিশের” আমি এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস মুক্ত করতে এগিয়ে যাব।তিনি আরো বলেন, আমরা অতন্ত্র প্রহরী হিসাবে রাত জেগে থাকি শুধু জনগণ শান্তিতে ঘুমাবে বলে, আমাদের ঈদের ছুটিও নেই শুধু জনগণ যাতে তাদের এই ঈদকে সুন্দর, সুশৃঙ্খল এবং শান্তিতে কাটাতে পারে। কত পুলিশ অফিসার প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দেশকে জঙ্গি, সন্ত্রাস মুক্ত করতে।আমি একটি কথা বলবো জনগণের উদ্দেশ্যে-আপনারা পুলিশ কে নিজের বন্ধু ভাবুন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশজনগণের শুধু বন্ধুই নয়, সেবকও। পুলিশ সব সময়ই জনগণের বন্ধুহিসেবে জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের পক্ষে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সেবা দেয়া সম্ভব নয়।পুলিশ অফিসার রবিউল হোসেন সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় সমগ্র কয়রা বাসি গর্ববোধ করেন।এলাকাবাসির অভিমত রবিউল হোসেনের সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় মুগ্ধ হয়ে বলেন, জীবন সংগ্রামকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করার জন্য প্রয়োজন সঠিক মানুষের সঠিক পুলিশ অফিসারের । যে দিন বাংলাদেশের প্রতিটা থানায় একজন করে এমন অফিসার ইনচার্জ মতো সৎ পুলিশ অফিসার থাকবেন সেদিনই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সুন্দর এবং শান্তিময় দেশ।কয়রা থানা এসআই আসাদুল ইসলাম বলেন , রবিউল হোসেনের স্যারের মত একজন অভিবাবক পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তারমতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। প্রতিটি অপরাধ দমনে স্যারের মতো পুলিশ অফিসারের সান্নিধ্য পেলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ ব্যাপক অগ্রগতি হবে।