উড়ন্ত সূচনার পর সিলেটের সংগ্রহ ১৮০

0
411

প্লে’অফ তথা সেরা চার দলের লড়াইয়ের টিকিট পেতে একটি মাত্র পথই খোলা সিলেট সিক্সার্সের সামনে। নিজেদের বাকি থাকা ৪ ম্যাচের সবকয়টি জিততে হবে বড় ব্যবধানে, এরপরে অপেক্ষা করতে হবে বেশকিছু পারিপার্শ্বিক সমীকরণ মিলে যাওয়ার।

এ দুইয়ের যুগলবন্দী ঘটলেই কেবল সুপার ফোরে যেতে পারবে সিলেট। পারিপার্শ্বিক সমীকরণের জটিলতা মেলানোতে কিছুই করার নেই সিলেটের। তবে তাদের হাতে রয়েছে নিজেদের ম্যাচগুলো জিতে কাজ সহজ করে রাখার সুযোগ।

সে লক্ষ্যে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ১৮০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সিলেট। অথচ জেসন রয় ও লিটন দাসের ব্যাটে ঝড়ো সূচনার পরে মনে হচ্ছিলো অনায়াসেই ২০০ পার করে ফেলবে তারা। তবে রাজশাহীর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেটি করতে পারেনি সিলেট।

টসে হেরে রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। প্রথম ওভারেই ১টি করে চার-ছক্কার মারে ১৪ রান নিয়ে নেন লিটন দাস। তবে পরের ওভারেই আরেক ওপেনার সাব্বির রহমানকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন আরাফাত সানি।

ঠিক পরের ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের শিকারের পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। আউট হওয়ার আগে ৩ চার ও ১ ছক্কার মারে ১৩ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তোলেন এ ম্যাচেই প্রথম খেলতে নামা জেসন রয়।

দুজন মিলে মাত্র ৩৬ বলে যোগ করেন ৬২ রান। এর মধ্যে ২৮ বলে ৪২ রানই আসে জেসনের ব্যাট থেকে। দশম ওভারের শেষ বলে জেসন আউট হওয়ার সময় সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেট ৯৬ রান। ৪ চার ও ২ ছক্কার মারে নিজের ইনিংস সাজান জেসন রয়।

পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ ব্যাট করলেও আজকের ম্যাচে ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না আফিফ। ৩ চার ও ১ ছক্কা হাঁকালেও ২৮ রান করতে ২৯ বল খরচ করে ফেলেন তিনি। ধীর ইনিংস খেলে ২ ছক্কার মারে ১৮ বলে ১৯ রান করেন নিকলাস পুরান।

তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ৭ বলে ১১, অলক কাপালি ১৪ বলে ১৬ এবং সোহেল তানভীর ১০ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানে গিয়ে থামে সিলেটের ইনিংস।

রাজশাহীর পক্ষে বল হাতে মোস্তাফিজুর রহমান নেন ২ উইকেট। এছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি, সেকুগে প্রসন্ন, আরাফাত সানি ও রায়ান টেন ডেসকাট ১টি করে উইকেট নেন।