ইবি’তে পুনরায় শিক্ষার্থীর আত্বহত্যা

0
560

নিজস্ব প্রতিবেদক,কুষ্টিয়াঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নাজমুল হাসান নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন আবাসিক হলের ২২্৯ নং কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিকভাবে রুমের দরজা ভেঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আবাসিক হল ও চিকিৎসা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় নাজমুল হোসেন তার বন্ধু নাদিমকে ফোন করে রুমে আসতে বলেন। পরে নাদিম নাজমুলের রুমে গিয়ে দেখে রুম ভেতর থেকে বন্ধ করা। এরপর নাজমুলকে কয়েকবার ডাকার পরও কোন সাড়া না পেয়ে নাদিম দরজা ধাক্কা দিতে থাকে। একপর্যায়ে পাশের রুমের কয়েকজন শিক্ষার্থী দরজা ভেঙ্গে রুমে ঢুকে তারা নাজমুলকে ঝুলানো অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার বদিউজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুলের রুমমেটদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘পূজার ছুটি উপলক্ষ্যে দুই-তিন ধরে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছি। নাজমুল হাই প্রেসারের রোগী। বেশ কিছুদিন ধরে সে অসুস্থতার মধ্যে ছিল। প্রতিদিন সে ১২টি করে ট্যাবলেট সেবন করত এবং সবসময় বিষণ্ণ ও হতাশার মধ্যে থাকতো। আমরা ক্যাম্পাসে থাকলে হয়ত এমনটা হতো না।’

নাজমুলের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা থানার বারাত নামক গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মালেক গাজী এবং মাতা রোকেয়া বেগম।

চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মরত চিকিৎসক বদিউজ্জামান বলেন, ‘নাজমুলকে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে আসা হলে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পায়।’

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, ‘এটা আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর সেখান থেকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা হবে।’

আইন ও শরীয়াহ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রেবা মন্ডল বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ঘটনা পরপরই ঘটছে যা তা রীতিমত অনাকাঙ্খিত দু:খজনক ব্যাপার। এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শিক্ষকদেরও অনেক দায়িত্ব থাকে। জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনা শোনা মাত্রই কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে চলে আসি। এরপর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর রুম পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মর্মহত। এ ধরনের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়।’