আশাশুনির শবদলপুরে বৃদ্ধা চন্দনা বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলেও ভাতা উত্তোলণের আগেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে

0
411

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের শবদলপুরের আলোচিত চন্দনা সরকার অবশেষে বিশেষ কোটায় সদ্য বয়স্ক ভাতার কার্ড পেলেও ভাতা উত্তোলণ করার আগেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রোববার রাত ৩ টায় উপজেলার সদরের শবদলপুর (কোদন্ডা) গ্রামের স্বর্গীয় পতিত সরকারের স্ত্রী চন্দনা সরকার (৮৮) বার্ধক্য জনিত কারনে মৃত্যু বরণ করেন (দিব্যান লোকান স্বগচ্ছতু)। মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বুদ্ধদেব সরকার, ভদ্দর সরকার, বিজয় সরকার, অমল সরকার ও তিন কন্যা আলোমতি, কবিতা ও জয়ন্তি সরকারকে রেখে গেছেন। এর মধ্যে ছেলে বিজয় সরকার ও কন্যা আলোমতি, কবিতা ও জয়ন্তি ভারতে বসবাস করেন। সোমবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী শ্মশানে তার অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। জানাগেছে, চন্দনা সরকার বার্ধক্য জণিত কারনে কিছুটা দূর্বল ও আত্ম-ভোলা অবস্থায় ভারতে অবস্থানকারী ছেলে-মেয়েদের তত্ত্ববধানে থেকে চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরে ছোট ছেলে অমল সরকারের সংসারে থাকতেন। এরই মধ্যে কিছু সংবাদকর্মী হঠাৎ তার বাড়ীতে উপস্থিত হন। সে সময় চন্দনা সরকার কেবল গোসল সেরে উঠেছেন। সেবস্থায় তার একটি ছবি তুলে স্যোসাল মিডিয়াসহ স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় শবদলপুর একই বাড়ীতে থাকা তিন ছেলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলেও মায়ের প্রতি ছেলে ও বৌমাদের অবহেলার বিষয়টি তুলে ধরেন। এখবরে গত ১৬ জানুয়ারী থানা অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম তার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে শীতবস্ত্র (কম্বল) ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। ১৮ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ কোটায় নতুন অর্থ বছরের বয়স্ক ভাতার ৮৪০৫ নং বই তুলে দেন। এ সময় উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার শহিদুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার, প্রধান শিক্ষক সীমা রানী মল্লিক চায়নাসহ সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে চন্দনার জেষ্ট ছেলে বুদ্ধদেব সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এলাকায় তার প্রতিপক্ষ একটি মহল তার পরিবারের লোকদের হেয় প্রতিপন্ন করতে কিছু সংবাদকর্মীকে দিয়ে এ ধরনের সংবাদ প্রচার বা প্রকাশ করিয়েছে। এ জন্য আমিসহ আমার গোটা পরিবার ক্ষুব্ধ।