আশাশুনির পুরাতন মোকাম বড়দল বাজারে বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি

0
474

মইনুল ইসলাম, আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার বৃহত্তর পুরাতন মোকাম বড়দল বাজারে বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে যায়। ফলে বাজারের পুরাতন ঐতিহ্য ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। দক্ষিণ খুলনার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মোকাম বড়দল বাজার। বাজারটিতে প্রায় সাড়ে ৪ শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বহু এনজিও, বীমা অফিস, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা এবং ধনী শ্রেণি মানুষের বসবাস। বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা কপোতাক্ষ ও মরিচ্চাপ নদী এখন নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এখানে প্রতিদিন ও বিশেষ করে সাপ্তাহিক হাটের দিনে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে। এলাকাবাসীসহ সকল প্রতিষ্ঠানের মানুষের প্রাণের দাবী অবিলম্বে বড়দল বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করার মাধ্যমে এলাকাবাসীর দুঃখ ও দুর্গতি লাঘবে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বাজারের চাদনী সেটের ছাউনি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানিতে ব্যবসা বন্দ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। মাছ ও মাংসের সেট, চাদনী সেটের পাশে মাছ ও মাংসের পট্টি ও কাপড় পট্টি পানিতে তলিয়ে থাকায় হাটু পানি ও কাদামাটিতে কষ্টকর পরিবেশে ক্রেতারা বাজারে যেতে বাধ্য হন। মনোহরী ও কাঁচামাল পট্টি নদীর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকে। ব্যবসাীরা তাদের ব্যবসার দোকান বসিয়ে থাকেন খুটির উপর গোলপাতার ছাউনি দিয়ে। আধাপাকা কিংবা পাকা ঘর নির্মাণ করতে গেলেই চাঁদাবাজী ও সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে হয়ে ওঠে না। ফলে বাজারটি এখন ছোবড়া ঘরের বাজারে পরিণত হতে চলেছে। পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় পুরা বাজারটি পানি ও কাদামাটিতে চরম বিপদাপন্ন হয়ে উঠেছে। চাঁদনী সেট, অভ্যান্তরিন সড়ক নির্মাণ, পয়ঃ নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা, ওয়াপদা বাঁধে পাইপের মাধ্যমে পানি উঠানামা করায় জোয়ারের পানিতে বাজার ছয়লাব হয়ে যাচ্ছে, সেখানে একটি পাট সম্বলিত কালভার্ট নির্মাণ করা এবং নদীগুলো পুনঃ খনন না করায় নানাবিধ সমস্যা দীর্ঘকালের। এসব সমস্যা নিরসনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।