আশাশুনিতে মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে আহত-১০

0
502

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি সদরের দূর্গাপুর জামে মসজিদে কমিটি গঠন কেন্দ্রিক দু’গ্রুপের পাল্টা-পাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা মসজিদ প্রাঙ্গণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার উপস্থিতিতে মসজিদ কমিটি করার প্রস্তুতি চলছিল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিবুল হাসান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান স,ম সেলিম রেজা মিলন, স্থানীয় মসজিদের মুসল্লীগণ। কমিটি করার প্রাক্কালে জনৈক ফেরদৌস মোড়ল উত্তেজনাকর বক্তব্য দেওয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মসজিদের বাইরে থাকা উভয় পক্ষের বেশ কিছু মুসল্লী কথা-কাটাকাটির বিষয়টি আমলে নিয়ে মারামারি শুরু হয়। মারামারি থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছুড়াছুড়ি ও পাল্টা-পাল্টি হামলা শুরু হলে ইউএনও ও ইউপি চেয়ারম্যান সহ বেশ কিছু মুরব্বীয়ান মুসল্লীগণ ঠেকাতে ব্যার্থ হলে থানা পুলিশে খবর দেয়। থানা অফিসার ইনচার্জ এখবরে নিজেই থানার অধিকাংশ অফিসার ও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে মারামারি নিবৃতি করতে সক্ষম হয়। উভয় পক্ষের ইটপাটকেলের আঘাতে শহিদুল গাজী (৫৫), লাল্টু গাজী (৩৫), রাবেয়া (৬২), লিটন গাজী (৩০), সাইফুল মোড়ল (৪২) কমপক্ষে ১০/১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহতদের আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করলেও শহিদুল ও লাল্টুর অবস্থা আশংকা জনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে। এব্যাপারে আশাশুনি থানায় উভয় পক্ষের মধ্যে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে উভয় পক্ষের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। প্রসঙ্গতঃ আশাশুনি সদরের দূর্গাপুরের ওই মসজিদের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ নিয়ে আলাপ আলোচনা চলছিল। নির্মাণ কাজ করা কেন্দ্রিক মসজিদের পার্শ্ববর্তী মুসল্লীদের মধ্যে দুটি পক্ষের উদ্ভব হয়। সাথে সাথে মসজিদের দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় উন্নয়নের সার্থে কমিটি করা কেন্দ্রিক দু’পক্ষের মধ্যে প্রভাব খাটানোর পায়তারা চলছিল। এক পর্যায়ে একটি পক্ষ নিজেদের মতাদর্শের উপরে নির্ভর করে একটি কমিটি তৈরী করে। অপর পক্ষ সে কমিটিকে মেনে নিতে না পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার নিকট প্রতিকারের প্রার্থনা করে আবেদন করেন। তারই প্রেক্ষিতে ইউএনও উভয় পক্ষের প্রাথমিক শুনানী অন্তে গতকাল শুক্রবার উক্ত মসজিদে কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে আলোচনা চলাকালীন কথা-কাটাকাটি চলাকালীন উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।