আজ মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা

0
452

সজল সরকার টুঙ্গিপাড়া,গোপালগঞ্জঃ শারদীয় দুর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার মহাসপ্তমীতে ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন পূজামন্ডপ। এদিন মন্ডপে মন্ডপে ছড়িয়ে পড়েছিল উৎসবের বারতা। তৃতীয় দিন আজ বুধবার মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজা। উপজেলার বেশ কয়েকটি পূজামন্ডপে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সকালে পূজা, সন্ধিপূজা ও মধ্যাহ্নে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে। মহাষ্টমীতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কুমারী পূজা। এদিন এক বালিকাকে দেবীর আসনে বসিয়ে মাতৃজ্ঞানে পূজা দেওয়া হবে। পূজারি ও ভক্তরা মহাষ্টমীকে বিশেষ জাঁকজমকপূর্ণ করে পালন করেন। মঙ্গলবার সকালে মন্ডপে মন্ডপে কলাবউকে স্নান করিয়ে শুরু হয় মহাসপ্তমী। এদিন ত্রিনয়নী দেবীদুর্গার চক্ষুদান করা হয়। ভক্তরা মা দুর্গাকে পুষ্প, নৈবেদ্য, আসন, বস্ত্র, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করেন। সপ্তমীবিহিত পূজা শেষে আয়োজন করা হয় পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগআরতির। মহাসপ্তমী উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিভিন্ন পূজামন্ডপে ছিল ধর্মীয় ভক্তিমূলক গান, রামায়ণ পালা। মঙ্গলবার পূজামন্ডপগুলো ঢাক-ঢোল ও ঘণ্টার বাদ্যি-বাজনা আর ভক্তদের পূজা-অর্চনায় মুখর হয়ে ওঠে। সরেজমিন বেশ কয়েকটি মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, নানা বয়সী দর্শনার্থী, পূজারি ও ভক্তদের ভিড় ছিল ব্যাপক। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এ ভিড় ছিল উপচেপড়া। উৎসবে যোগ দিয়েছেন অন্য ধর্মের মানুষও। পূজাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মেলায়ও ভিড় করেন দশনার্থীরা। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও), রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীবৃন্দ বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। এতে মন্ডপগুলো বাঙালির সার্বজনীন উৎসবের মেলায় রূপ নেয়। আজ মহাষ্টমীর দিনে দর্শনার্থী, পূজারি ও ভক্তদের এ ভিড় আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ সকালে দেবীর মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও মহাষ্টমীবিহিত পূজা শুরু হবে। এরপর পুষ্পাঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণ শেষে রাতে সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে আজকের দিনের প্রধান আকর্ষণই থাকবে কুমারী পূজা। এ জন্য অল্পবয়সী একটি মেয়েকে মনোনীত করা হবে, যাকে দেবীদুর্গার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শাস্ত্রীয় ব্যাখ্যা অনুসারে তার একটি নামকরণও করা হবে। শাস্ত্রমতে এক বছর বয়সে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কলিকা, পাঁচে সুভগা, ছয়ে ঊমা, সাতে মালনী, আটে কুব্জিকা, নয়ে কালসন্দর্ভা, দশে অপরাজিতা, এগারোয় রুদ্রানী, বারোয় ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষণী, চৌদ্দয় পীঠনায়িকা, পনেরোয় ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোল বছরে অম্নদা বলা হয়ে থাকে।