আইরিশদের দারুণ ফেরা

0
368

খুলনাটাইমস স্পোর্টস: ৮০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ব্যাটিং গড় ১০.৯৭। এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ব্যাটিং পজিশন ছিল ১১ নম্বর। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ব্যাটসম্যানকে শেষ বিকেলে ওপেনিংয়ে পাঠানো হলো নাইটওয়াচম্যান হিসেবে। সুযোগটি পেয়ে অভাবনীয় ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির ইতিহাস প্রায় গড়েই ফেলেছিলেন জ্যাক লিচ। তবে তাকে সেঞ্চুরির আগে থামানোর পর দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরেছে আয়ারল্যান্ড। জমে উঠেছে তাই লর্ডস টেস্ট।
লর্ডস টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩০৩ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের ৮৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে আয়ারল্যান্ড নিয়েছিল ১২২ রানের লিড। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ড ১ উইকেট হাতে নিয়ে এগিয়ে ১৮১ রানে।
প্রথম ইংলিশ নাইটওয়াচম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ার কাছাকাছি গিয়েও লিচ থমকে যান ৮ রান দূরে।
ব্যাটিং প্রতিকূল উইকেটে শেষ ইনিংসে দুইশর আশপাশে রান তাড়া করা সহজ হবে না বটে। তবে নিজেদের তৃতীয় টেস্টেই অসাধারণ এক জয়ের হাতছানি এখনও যথেষ্টই আছে আইরিশদের সামনে।
ব্যাটসম্যানদের দুর্ভোগের টেস্টে লিচ ও জেসন রয়ের জুটির সময় ব্যাটিং খুব কঠিন মনে হচ্ছিল না। ওপেনার ররি বার্নস ৬ রানে আউট হওয়ার পর উইকেটে সঙ্গী হন এই দুজন।
আগের দিন শেষ বিকেলে ১টি ওভার কাটিয়ে দিয়েছিলেন লিচ। তার কাছ থেকে দলের খুব বেশি কিছু চাওয়ার কারণ ছিল না। কিন্তু দারুণ সব শটে লিচ খেলতে থাকেন সত্যিকারের ওপেনারের মতোই। অভিষিক্ত রয় বেছে নেন ওয়ানডের মতো সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পথ।
এই জুটিতেই প্রথম ইনিংসের ঘাটতি কাটিয়ে লিড নিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও ছিল তাদের হাতে। কিন্তু হার না মানা মানসিকতায় আবার খেলার মোড় পাল্টে দেয় আইরিশরা।
৭৮ বলে ৭২ রান করে রয় বোল্ড হয় স্টুয়ার্ট টম্পসনের বলে। ভাঙে ১৪৫ রানের জুটি। খানিক পর ৯২ রানে লিচকে ফিরিয়ে দেন আইরিশদের প্রথম ইনিংসের বোলিং নায়ক টিম মারটাঘ।
জো ডেনলি অল্পতে ফেরেন রান আউটে। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও রানের খাতা খুলতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো। ২৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে এলোমেলো হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এরপর মইন আলি ও ক্রিস ওকস টেকেননি বেশিক্ষণ। অধিনায়ক জো রুট থিতু হয়েও আউট হয়ে যান ৩১ রানে।
ইংল্যান্ড তখন শঙ্কায় আড়াইশর নিচে অলআউট হওয়ার। লোয়ার অর্ডারে স্যাম কারান ও স্টুয়ার্ট ব্রডের পাল্টা আক্রমণে শেষ পর্যন্ত ছাড়ায় তারা তিনশ। চারটি চার ও দুই ছক্কায় ২৯ বলে ৩৭ রান করেন কারান।
বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতা মিলিয়ে ২০.২ ওভার আগে শেষ হয় দিনের খেলা। ইংল্যান্ড তখন আগের চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থানে। তবে দিনশেষে জয়ের সম্ভাবনায় খানিকটা এগিয়ে আয়ারল্যান্ডই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮৫
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২০৭
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৭৭.৪ ওভারে ৩০৩/৯ (লিচ ৯২, বার্নস ৬, রয় ৭২, ডেনলি ১০, রুট ৩১, বেয়ারস্টো ০, মইন ৯, ওকস ১৩, কারান ৩৭, ব্রড ২১*, স্টোন ০*; মারটাঘ ১৮-৩-৫২-১, অ্যাডায়ার ২০-৭-৬৬-৩, র‌্যানকিন ১৭-১-৮৬-২, টম্পসন ১২.৪-০-৪৪-২, ম্যাকব্রাইন ১০-১-৪৭-০)।