আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের রেকর্ড আবেদন

0
501

খুলনাটাইমস ডেস্কঃপুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) রেকর্ড পরিমাণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আবেদন করেছেন।

আইপিওতে অতিরিক্ত আবেদন জমা পড়ায় শেয়ারপ্রাপ্ত বিনিয়োগকারী নির্ধারণে প্রতিষ্ঠানটি আগামী ১১ সেপ্টেম্বর লটারির ড্র করবে। রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় লটারির এ ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
এক দফা পিছিয়ে গত ৯ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আইপিও আবেদন গ্রহণ করে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস। কারখানা, প্রশাসনিক ভবন, গুদাম ও গ্যারেজ ভবন নির্মাণ, মেশিনারিজ ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতের ব্যয় মেটাতে কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা উত্তোলন করছে। এ জন্য ১০ টাকা অবিহিত মূল্যে ইন্দো-বাংলা আইপিওর মাধ্যমে ২ কোটি শেয়ার ছাড়ছে।
এই শেয়ারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি। অর্থাৎ ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস আইপিও’র মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। তবে এই ১০ কোটি টাকার শেয়ার পেতে ৭৫৭টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেছে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকারীরা আইপিওতে শেয়ার পেতে যে আবেদন করেছে তার আর্থিক মূল্য ১৪৯ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ ইন্দো-বাংলার শেয়ার পেতে ১ হাজার ৪৯৩ শতাংশ আবেদন জমা পড়েছে।তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিওতে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেছে। এর আগে কোনো কোম্পানির আইপিওতে এতো বেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেনি।

ইন্দো-বাংলার আগে এতদিন প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদনে শীর্ষে ছিল এমএল ডাইংয়। কোম্পানিটির শেয়ার পেতে ৭৪৩ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আইপিওতে আবেদন করে।এমএল ডাইংয়ের পরের অবস্থানে থাকা সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালসের আইপিওতে ৭৩৫ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করেছিল। আইপিওতে ৭’শর ওপরে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর আবেদন পড়া আর একটি কোম্পানি ভিএফএস থ্রেড ডাইং। এ প্রতিষ্ঠানটির আইপিওতে ৭০৬টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আবেদন করে।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের রেকর্ডসংখ্যক আবেদন পাওয়া ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালসকে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পুঁজিবাজেরর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বছরের ৩ অক্টোবর অনুমোদন দেয়।

আইপিও অনুমোদন দেয়ার সময় বিএসইসি জানায়, ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ২১ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮৪ পয়সা।