অভয়নগরে এনজিও’র ঋণ পরিশোধের চাপ সইতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা

0
538

জাকারিয়া, অভয়নগর প্রতিনিধি: অভয়নগরে জাগরণী চক্র-গ্রামীণ ব্যাংক সমাধান এনজিও’র ঋণ পরিশোধের চাপ সইতে না পেরে অবশেষে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে আবুল কালাম গাজী (৪৮)। সে উপজেরার পায়রা ইউনিয়নের বারান্দি পূর্বপাড়ার বাসিন্দা। গত সোমবার বিকালে নিজ বাড়িতে বিষপান করে। টের পেয়ে পরিবারের লোকজন দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এখবরে পরিবারে চরছে শোকের মাতম। হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে পরিবারের লোকজন। পরিবার সূত্রে জানান, আবুল কালাম গাজী ব্যবসার উদ্দেশ্যে প্রথমে একটি এনজিও থেকে ঋণ নেয়। কিন্ত শক্রতা বশত বিভিন্ন মামলায় ৪/৫ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়। ঋণ পরিশোধ না হলেও অন্য একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান ফুসলিয়ে তাকে পুনরায় ঋণ দেয়। যদিও একটি এনজিওর ঋণ থাকা কালীন অন্য এনজিও থেকে ঋণ নেয়ার বিধান নেই। এরপরও আরেকটি এনজিও প্রতিষ্ঠান আবারও তাকে ঋণ দেয়। অপরদিকে মামলা মকদ্দমা মেটাতে গিয়ে পারিবারিক ভাবে আনেক দায় দেনায় জড়িয়ে পড়ে। এ থেকে মুক্তি পেতে গ্রামীণ ব্যাংক, জাগরণী চক্র ও সমাধান নামক এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। ঋণের কিস্তি জোগাড়করতে দিন রাত পরিশ্রম করতে থাবে আবুল কালাম গাজী। একমাত্র পুত্র পিন্টু নওয়াপাড়া আকিজ জুট মিলের শ্রমিক। পিতা-পুত্র মিলে কোন ভাবেই সপ্তাহ শেষে এত টাকার কিস্তি যোগাড় করতে সক্ষম হচ্চিল না। এদিকে এনজিও প্রতিষ্ঠনগুলোতো নাছোড় বান্দা। তাদের সাপ্তাহিক কিস্তিনর টাকা পরিশোধ না করলে চরম দূর্ব্যবহারের শিকার হতে হয়। কিস্তির দিন এলে এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা নানা ভাবে চাপ দিতে থাকে। এনিয়ে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে আবুল কালাম গাজীদেনার দায়ে আর এনজিও কর্মিদের দূর্ব্যবহারে বিষিয়ে উঠে সে। যে কারনে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে জানায় তার পরিবার। আবুল কালামের পরিবার জানান, এনজিওদের এত বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমরা আস্তে আস্তে সব ঋণ পরিশোধ করে দেব। তাত্ত তারা সময় অসময়ে আমাদের উপর চরম মানষিক আত্যাচার চালায়। যে কারণে সে আত্মহত্যা করে বলে জানান।