খুলনা জেলা ওষুধ প্রশাসনের অভিযানে পাঁচ ওষুধ ফার্মেসীকে জরিমানা

0
590

নিজস্ব প্রতিবেদক :

খুলনা জেলা ওষুধ প্রশাসনের উদ্যোগে ফার্মেসীগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পৃথক অভিযানের সময় ভুয়া লাইসেন্স ও মেয়াদোর্ত্তীণ ফিজিশিয়ান শ্যাম্পল ও ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।  এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫ ফার্মেসীকে বিভিন্ন অর্থে মোট ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার ( ৬ নভেম্বর) খুলনার পাইকগাছায় উপজেলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোঃ আব্দুল আওয়াল ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

খুলনা জেলা ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ এ প্রতিবেদককে বলেন, মঙ্গলবার দিনব্যাপী পাইকাগাছা উপজেলায় ওষুধ ফার্মেসীগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় রহিমা ফার্মেসীর লাইসেন্সটি ভুয়া। তার স্বাক্ষর জ্বাল করে এই লাইসেন্স একটি চক্র মোটা অংকে অর্থের বিনিময়ে প্রদান করেন। এ অপরাধে কারণে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল আওয়াল ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন।

এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ফিজিশিয়ান শ্যাম্পল ও ওষুধ মজুদ থাকার অপরাধে ৪টি ফার্মেসীকে বিভিন্ন অর্থে জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স রাহেলা ফার্মেসীকে ৩ হাজার টাকা, মেসার্স মোড়ল ফার্মেসীকে ২ হাজার টাকা, ফারিন ড্রঠস হাউজকে ১ হাজার টাকা ও মোল্লা ফার্মেসীকে ১ হাজার টাকা ভ্র্যম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা প্রদান করা হয়।

ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফার্মেসীতে রাখতে হলে প্যাকেট করে সিলগালা বা তালাবদ্ধ করে লালকালী দিয়ে বড় করে লিখতে হবে ‘এ ওষুধ বিক্রিয় যোগ্য নহে’। গোডাউনের মধ্যে রাখলেও একইভাবে লাল কালি দিয়ে প্যাকেটের গায়ে লিখে রাখতে হবে।  ফার্মেসী তাকে রাখা যাবে না। তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।